ঢাকাসোমবার , ২০ অক্টোবর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল আদালতে চত্বরে টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম্যে অসহায় বিচার প্রার্থীরা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
অক্টোবর ২০, ২০২৫ ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

রবিউল ইসলাম রবি :: মানুষের মৃত্যুর পর তার কর্মজীবনের বিচার করবেন আল্লাহ বা ঈশ্বর বা ভগবান। আর পৃথিবীতে বসে অভিযোগ ও তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচার করেছেন আদালতের বিচারকরা। নিম্ন ও আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা হলো প্রতি মানুষের শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল। কিন্তু সেই আদালত চত্বরের কার্যক্রম যদি ‘টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম্য’ এর কারণে ন্যায় বিচার চাওয়ার আশান্বিত মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। বিষয়টির প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা না হলে প্রতারিত হওয়া বিচার প্রার্থীদের মনে আদালতের কার্যক্রম নিয়ে নানা প্রশ্নের দানা বেধে উঠবে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অ্যাডভোকেট সাইদুন্নাহার মুক্তি (Adv Saidunnahar Mukti) তার নামের ইংরেজি লেখা আইডি থেকে ‘বরিশাল কোর্টে টাউট, দালাল-বাটপারদের দৌরাত্ম্য’- বর্তমানে ভয়াবহ পরিণতি’ এর বর্ণনা তুলে ধরে একটি পোস্ট করেন। ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্যানুযায়ী তিনি- বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কর্মরত।

লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
⚖️ #বরিশাল কোর্টে টাউট, দালাল-বাটপারদের দৌরাত্ম্য— বর্তমানে ভয়াবহ পরিণতি ধারণ করেছে!!
#সম্প্রতি বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কোর্ট প্রাঙ্গণ এখন টাউট, দালাল ও বাটপারদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে! যে যেখান থেকে পারছে, আইনজীবীদের পোশাক পড়ে কোর্টে ঢুকে পড়ছে, তারা সাধারণ মানুষদের ধোঁকা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে— ফলে সাধারণ মানুষজন সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে ধোঁকায় পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে!! অথচ অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত আইনজীবীদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই!
🤔অথচ #কর্তৃপক্ষ সেখানে নীরব ভূমিকা পালন করছে !!
👉 কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো -এদের পেছনে কারা?
অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, কিছু অসাধু আইনজীবীরই ছায়া-সমর্থন ও সহযোগিতায় এই দালালচক্র বেড়ে উঠেছে।
কেউ তাদের কোর্টে ঢোকার অনুমতি দেয়, কেউ মামলার ক্লায়েন্ট পাইয়ে দিতে ব্যবহার করে— আর শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ এবং আইন পেশার মর্যাদা।
🧩 তাই এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে রক্ষা পাবার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি,, —শুধু টাউট বা দালাল ধরলে কিছুই হবে না।
যে সকল আইনজীবী এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন, তাদের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল-কে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
যতক্ষণ পর্যন্ত মূল উৎসে আঘাত না হানা হবে,
ততক্ষণ পর্যন্ত কোর্টের এ নোংরা দালাল-সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব।!

এ বিষয় বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এস.এম. সাদিকুর রহমান লিংকন বলেন, “হ্যাঁ ফেসবুক পোস্টটি আমি দেখেছি এবং পড়েছি। তবে পোস্টকারীর উচিত ছিল বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া। আর শুধু আদালতেই নয় সকল প্রতিষ্ঠানেই কম বেশি টাউট, দালাল-বাটপারদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। ” অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যাই হোক না কেন আদালত মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল সেখানে এমনটা হলে বিচার প্রার্থীদের অবস্থা কি হবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- আইনজীবী না হয়েও যে আইনজীবীর পোশাক পড়ে কোর্টে ঢুকে এবং দালালদের লালন পালন করে অবশ্যই খোঁজ খবর নেয়া হবে।