ঢাকাসোমবার , ৬ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির দ্বিতল ভবন ভাং*চুর-লুট*পাট

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ৬, ২০২৫ ১২:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: নগরীর কালিবাড়ি রোডের মুুখে বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির দ্বিতল ভবন রাতের আধারে ভাংচুর করে মালামাল লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল আজম খানকে প্রধান করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রোববার বিকেল থেকে নগরীর ৭শ’ফার্মেসী বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে রাতে পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলামের অনুরোধে ফার্মেসী খুলে দেওয়া হয়। কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির নেতৃবৃন্দ অতি দ্রুত মামলার ১নং আসামী ইকবাল আজম খানকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান। মামলার বাদী হচ্ছেন সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম। অপর আসামী হলো- মো. হাসান, মো. তারেকসহ অজ্ঞানামা ২০ জন। আটক শ্রমিক তারেককে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গতকাল রবিবার ভোররাত থেকে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল ওই ভবন ভাংচুর শুরু করে। তারা ভবনের দেয়াল থেকে শুরু করে টয়লেট এবং দ্বিতীয়তলার টিনের শেড পর্যন্ত খুলে ফেলে। ভবনে লাগানো দরজা-জানালা-এসিসহ সকল মালামাল খুলে এক জায়গায় স্তুপাকারে রাখা হয়। এ সময় নীচতলায় ওষুধের দোকানও ভাংচুর করা হয়। এতে কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় এক শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
সালাম আরো বলেন, ইকবাল একজন ভূমিদস্যু। তাদের সম্পত্তিতে কোন জমি নেই। এরপরও তিনি জমি দাবি করে একাধিক মামলা দায়ের করেন। জমির পক্ষে কোন ধরনের কাগজপত্র না থাকায় তা খারিজ হয়ে যায়। আইনগতভাবে না পেরে জমি দখলের চেষ্টা করেছে। ভূমি দস্যুরা সড়কের পাশের ফার্মেসীর শাটার এবং দেয়াল ভেঙ্গে পিছনে যায়। এরপর সমিতি ভবনের দেয়াল বিভিন্ন জায়গায় ভাংচুর করে। দোতলার টিন পর্যন্ত খুলে ফেলেছে। সেখানকার আসবাবপত্রসহ সকল মালামাল ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ইকবালকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। আটককৃত শ্রমিক তারেক বলেন, তাকে শ্রমিক হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে ওই ভবনের মালিক যে তিনিই ভাঙ্গছেন। এ কারনে ৩০ জনের মত শ্রমিক একত্রিত হয়ে ভোররাত থেকে ভাঙ্গা শুরু হয়। একদল নীচে এবং আরেকটি দল উপরে ভাংচুর করে মালামাল এক জায়গায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে ভবন মালিক কে কিসের জন্য ভাঙ্গছে এসব বিষয়ে কিছ্ইু জানেন না তিনি। এ সময় তারিক জুতা দিয়ে নিজের কপালে বারবার আঘাত করছিল আর বলছিল কেন এ কাজে সে এসেছে। মো. দুলালসহ একাধিক স্থানীয়রা বলেন, ভোররাত থেকে শুরু হলেও তারা কিছুই টের পায়নি। সকাল বেলাও এ কাজ চলমান থাকায় শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই সকলে পালিয়ে যায়।

এ সময় এক শ্রমিককে আটক করা হয়। তবে তাকে কে এনেছে তা সে বলতে পারছে না। ভোররাত থেকে ভাংচুর ও লুুটপাটের বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় ধারন হয়েছে। ওই ফুটেজ দেখে সকলকেই শনাক্ত করা সম্ভব। পরিদর্শনে গিয়ে চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এবায়েদুল হক চান বলেন, একটি ভবন রাতের আধারে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করা হয়। যেভাবে ভাঙ্গা হয়েছে তাতে করে কিছু সময়ে পেলে ভবনটি উধাও করে ফেলতো। এ ঘটনায় তিনিও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে বলে জানান তিনি। কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় নামধারী চারজনসহ অজ্ঞাতনামা ২০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত শ্রমিক তারেককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছেন। খবর পেয়ে সকালেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুই বছর পূর্বে নিজস্ব জমিতে কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির দ্বিতল ভবন নির্মান করে কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময় থেকে পার্শ্ববর্তী ভবন মালিক ইকবালের সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ইতিপূর্বে ২১টি মামলা দায়ের করে ইকবাল। এ অবস্থায় উচ্চাদালতের স্থিতিবস্থা জারীর মধ্যে এ ভাংচুর চালানো হয় বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।