ঢাকাবুধবার , ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

পুলিশের হাতে আ*টক ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় জামায়াত নেতারা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ১৫, ২০২৫ ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পুলিশের হাতে আ*টক ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় জামায়াত নেতারা।

টাঙ্গাইলে পুলিশের হাতে আটক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই কর্মীকে ছাড়াতে থানায় তদবীর করতে যান জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, আটক হওয়া ব্যক্তিরা আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও পরবর্তীতে জামায়াতে যোগ দেন।

তবে, জামায়াত নেতাদের তদবীরেও দু’জনকে থানা থেকে ছাড়েনি পুলিশ। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।

ঘটনার বিশ্লেষণে জানা গেছে, টাঙ্গাইল শহর থেকে মানিক বাবু ও ইসমাইল নামে দুই যু্বককে আটক করে পুলিশ। যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই পরিচিত তারা। তবে তাদেরকে আটক করে থানায় নেয়ার পর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। আটককৃতদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তারা সক্রিয় ছিলেন।

এক পর্যায়ে থানায় যান স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তারা দাবি করেন, আটক মানিক ও ইসমাইল এক সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। দু’জনকে ছেড়ে দিতে তদবীর করেন জামায়াত নেতারা। তবে কাজ হয়নি তদবিরে, পুলিশ তাদেরকে আদালতে পাঠায়।

এ বিষয়ে জামায়াতের স্থানীয় এক নেতা বলেন, ২০২৩ সালে এই দুজন আমাদের সংগঠনের কর্মী হিসেবে অগ্রগতি লাভ করে। এজন্য তাদেরকে আমরা জামায়াতের কর্মী হিসেবে দাবি করেছি। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বলা হয়, যেকোনো অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতেই পারে। যেমন আমাদের আমির ডা. শফিকুল ইসলামও একসময় বাম রাজনীতি করতেন।

টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় যিনি দায়িত্বশীল আছে সে আমাদের রুকন। সে জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া এই দুজন তার টার্গেটে কাজ করে। তাই, আগে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগে থাকলেও এখন সে আমাদের কর্মী হিসেবেই গণ্য হবে।

তবে, এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

 

সম্প্রতি গাজীপুরের জয়দেবপুরেও অনেকটা একই রকম ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার হওয়া এক আওয়ামী লীগ নেতাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে মুক্তির দাবিতে মিছিল নিয়ে থানার সামনে হাজির হন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

গ্রেফতার হওয়া ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম মো. শফিকুল সিকদার (৩৮)। তার বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার বিকেবাড়ী এলাকায়। তিনি মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।