নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে এসে স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে অন.শনে ময়মনসিংহের তরুণী !
মুলাদীতে স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক তরুণী। মোবাইল ফোনে বিয়ের নামে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের দেলোয়ার চৌকিদারের বাড়িতে ওই তরুণী অবস্থান নেন। তরুণীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার ধনতা গ্রামে। মোবাইল ফোনে দেলোয়ার চৌকিদারের মালয়েশিয়া প্রবাসীর ছেলে লিমন ইসলামের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করছেন তরুণী। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দেলোয়ার চৌকিদার ওরফে ইসমাইল সরদারের বাড়িতে এক তরুণী প্রবেশ করেন। বাড়ির লোকজন তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি লিমন ইসলামের স্ত্রী বলে দাবি করেন। কিন্তু লিমন ইসলাম বিদেশে থাকায় বিষয়টি নিয়ে সবার মনে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। পরে লিমন ইসলামের মা ও বোন ওই তরুণীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তরুণী প্রবাসী লিমনের স্ত্রী দাবি করে ওই বাড়ি থেকে বের হতে অস্বীকৃতি জানায় এবং আত্মহত্যার হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, প্রায় ২ বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসী লিমন ইসলামের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তাদের মধ্যে ভিডিও কলে কথাবার্তা চলতে থাকে। প্রায় ছয় মাস আগে অন্তরঙ্গ কথা-বার্তার মাঝে লিমন ইসলাম ভিডিও কলের মাধ্যমে তরুণীকে বিয়ে করেন এবং দেশে ফিরে বিবাহ নিবন্ধন (নিকাহ রেজিষ্ট্রার)সহ আনুষ্ঠানিকতা করার আশ্বাস দেন। পরে তরুণী মোবাইলে লিমন ইসলামের বাবা-মা ও বোনের সঙ্গেও কথা বলে বিয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হন।
প্রায় ১ মাস ধরে লিমন ইসলাম ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে অন্যত্র কনে দেখা শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই তরুণী ময়মনসিংহ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে লিমন ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেন। এছাড়া তিনি নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
এব্যাপারে নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, প্রবাসী লিমন ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ের দাবি নিয়ে এক তরুণী ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন। লিমন বাড়ি না আসা পর্যন্ত তিনি অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন। তরুণীর অভিভাবক ও লিমন ইসলামের অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আলম বলেন, বিয়ে ও প্রতারণার বিষয়টি মোবাইল ফোনে অবহিত হয়েছি। তাকে থানায় উপস্থিত হয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।