নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের হিজলা উপজেলার মৌলভীর হাট বন্দরের লিপি এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানে ডাকাতি করে যাওয়ার পথে রড সিমেন্ট সহ ২ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে লিপি এন্টারপ্রাইজ এর মালিক সুজন ভুইয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন ৫ ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকার হিজলা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মহাসিন সিকদার খেলার কথা বলে একবার ৮ হাজার ও লটারির টিকেট এর কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেয়, এর পরে কোন বিষয় টাকা চাইতে আসলে আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই, তার কিছুদিন পরে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। গত ২৩ ই জানুয়ারী আমি দোকানের মালামাল আনতে ঢাকার যাওয়ার উদ্দেশ্য লঞ্চে উঠার কিছুক্ষণ পরে শুনতে পাই আমি নাকি পালিয়ে গেছি এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে আমার দোকানের সামনে লোকজন জড়ো করছে। ব্যাবসায়ীক কারনে আমার কাছে কিছু মানুষ ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পাওনা আছে যারা বিষয়টি শুনে হতাশ হয় কিন্তু ছাত্রদলের আহবায়ক মহাসিন সিকদার এর সাথে আমার কোন দেনা পাওনা নেই তিনি আমার কাছে নাকি ১০ লক্ষ টাকা পাবে, তার কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শাহজালাল রাজিব ২ লক্ষ এবং আল মামুন ২ লক্ষ টাকা পাওনা দাবী করে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে কয়েকজন লোক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে।
মামলার কারনে আমি যখন এলাকা ছাড়া তখন ৩০ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে আমার দোকানের তালা ভেঙ্গে দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ২০ থেকে ৩০ জন লোক, শুনেছি পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ওইদিন রাতে পুলিশের হাতে টমটমগাড়ি ভর্তি রড সিমেন্ট সহ গ্রেপ্তার হওয়া গুয়াবাড়িয়া গ্রামের আয়নাল মাঝির ছেলে সোহাগ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে স্থানীয় রাজিব, মামুন, লিয়ন ভাই সহ কয়েকজন আমার গাড়িতে রড সিমেন্ট ভরে দিয়ে মাষকাটা গ্রামের রাজ্জাক মাষ্টার এর ছেলে মামুন মাষ্টার এর বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসতে বলে,পথিমধ্যে পুলিশ আমাদের ধরে থানায় নিয়ে গেলে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমি সহ আটককৃত হাবিবকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
টমটমগাড়ি ভর্তি রড সিমেন্ট তারা রেখে দেয়।
এই ঘটনায় মরিয়ম বেগম নামের এক মহিলা ৩০ লক্ষ টাকার রড সিমেন্ট লুটপাট ও ওই রাতে তার আরিফ হোসেন নামের ছেলেকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গুম করে রাখার অভিযোগ করে হিজলা থানায় রাজিব ও মামুন সহ ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলার আবেদন করলেও ওসি সেই মামলা নিতে গড়িমসি করেন।