
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে টিসিবি পণ্য বিতরণ।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবারও ট্রাকে করে তেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর বিক্রি শুরু করেছি সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মাসিক কর্মসূচির পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই উর্দ্ধমুখি বাজার দরের যাতাকলে বছর জুড়ে টিসিবি পণ্যে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে স্বল্প আয়ের মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ম আয়ের খেটে খাওয়া পরিবারের মানুষের মাঝে। বিশেষ করে রমজান মাসে দুইবার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো স্বল্পমূল্যে পেয়ে বেজায় খুশি উপজেলার সুবিধাভোগীরা।
সারা দেশের মতো আজ রবিবার (৯ মার্চ) ১৬ নং ওয়ার্ডে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে নিয়োজিত ডিলাররা। এই টিসিবি পণ্য নিতে সকল শ্রেণির সুবিধাভোগীদের দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। বিশেষ করে নারীদের দীর্ঘ লাইন ছিলো চোখে পড়ার মতো। এ সময় ১৬ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংস্থাটি বলেছে, বরিশাল মহানগরী ৩০টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। যেকোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন।
টিসিবি আরও জানিয়েছে, স্মার্ট কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) বিক্রির কার্যক্রম চলছে। এর পাশাপাশি কার্ড নেই, এমন সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হয় ।
টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল), দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি, দুই কেজি ছোলা ও ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা ও আধা কেজি খেজুর ১৫৫ টাকায় বিক্রি করছে সংস্থাটি। মূলত আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে ছোলা ও খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে।
টিসিবির বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, ১৬ ওয়ার্ডের সচিব শোয়েব রহমান ও যুবদলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম জুম্মান, এ সময় তিনি বলেন, আজ দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত পণ্য বিতরণ কার্যক্রম চলছে , সুশৃংখলভাবে ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহযোগিতায় ৪০০ মানুষের মধ্যে পণ্য বিতরণ করা হয়
অনেকেই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে বলেন, সবকিছুর দাম প্রতিদিন বৃদ্ধি পেলেও আমাদের আয় বৃদ্ধি পায়নি। ফলে বাজারে গিয়ে পরিবারের চাহিদা মাফিক পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তালিকা ছোট করতে করতে আর ছোট করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থাতে সরকারের এই পণ্যগুলো পেয়ে অনেক উপকার হচ্ছে। বিশেষ করে রমজান মাসে দুইবার এই পণ্যগুলো পেয়ে অনেকটাই হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। এমন কর্মসূচি যেন আগামীতেও চালু থাকে সেই দাবী আমাদের।