
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর রূপাতলী এনায়েতুর রহমান কমপ্লেক্সে দুই পক্ষের দ্ব*ন্দ্বদের অবসান।
বরিশাল নগরীর রূপাতলী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি সংলগ্ন এনায়েতুর রহমান কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ গঠিত পরিচালনা কমিটির দ্বারা পরিচালিত হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই মর্মে উভয় পক্ষ ৯ এপ্রিল সমঝোতাপত্রে সাক্ষর করেছেন। রবিবার (১৩ এপ্রিল) রূপাতলী এনায়েতুর রহমান কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটি সহ-সভাপতি মো: মহিউদ্দিন মির্জা এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সমঝোতার আপস নামায় ১ম পক্ষ ও ২য় পক্ষে সাক্ষর করেন মাওলানা মির্জা রেজাউল করিম বেগ ও মাওলানা সায়েমুর রহমান বেগ। এছাড়া সাক্ষী রয়েছেন সৈয়দ রিয়াজুল করিম, সুরুজ মোল্লা, মো. সাইদুল, মির্জা আসাদুজ্জামান ও রিন্টু বেপারী সাক্ষর করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে- এনায়েতুর রহমান কমপ্লেক্স নামে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য মৌখিক ভাবে মাও. নূরুর রহমান বেগ, সায়েবুর রহমান বেগসহ সাবেক পরিচালনা কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৪ সাল থেকে ৪ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত সুনাম ও সততার সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিটি গঠন করে দেয়ায় ওই কমিটি এবং সাবেক কমিটির মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির সূত্র ধরে উভয়ের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও দাখিল হয়। বিরোধের পর থেকে প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগের পরিচালনা পর্ষদ কমপ্লেক্সের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং সাবেক কমিটি অর্থাৎ মাওলানা নূরুর রহমান বেগ ও মাওলানা সায়েমুর রহমান বেগের নেতৃত্বাধীন কমিটি এনায়েতুর রহমান কমপ্লেক্সের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তিতে উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উদ্যোগী হয়ে সকলকে নিয়ে সমঝোতা করেন। সমঝোতায় সিদ্ধান্ত হয়, আবু জাফর বেগের গঠিত এনায়েতুর রহমান কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির প্রতি কোন ধরনের আপত্তি নেই সাবেক কমিটি অর্থাৎ মাও: নূরুর রহমান বেগ ও সায়েদুর রহমান বেগের নেতৃত্বাধীন কমিটির। পরবর্তী কমিটিতে তাদেরকে রাখা না হলেও তারা আপত্তি বা আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন না। কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ মাদ্রাসার নামে কোন সম্পত্তি দান করেননি। সুতরাং মাদ্রাসার নামে সম্পত্তি দান করেছেন মর্মে কোন তথ্য প্রচার কেউ করতে পারবে না এবং ভবিষ্যতে কোনোদিন সম্পত্তি দাবি করতে পারবে না। মাদ্রাসার নামীয় ব্যাংক হিসাব মাওলানা নূরুর রহমান বেগ ও সায়েমুর রহমান বেগের নামে থাকলে তা বন্ধ করতে হবে। সাবেক ও বর্তমান কমিটির মধ্যে গোপনে ও প্রকাশ্যে দায়েরকৃত সকল প্রকার অভিযোগ, মামলা মোকাদ্দমা প্রত্যাহার করতে উভয়পক্ষ বাধ্য থাকবে।