ঢাকারবিবার , ১১ মে ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে প্রেমের ফাঁ*দে ফেলে  দশম শ্রেণীর ছাত্রের নামে ধ*র্ষ*ণ  মা*মলা : পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁ*দা দা*বি 

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মে ১১, ২০২৫ ৮:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে প্রেমের ফাঁদে ফেলে  দশম শ্রেণীর ছাত্রের নামে ধর্ষণ  মামলা : পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি।

বরিশালে ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে পড়ে মিথ্যে ধর্ষণ মামলায় দশম শ্রেণীর ছাত্র শেখ সাদী ওরফে স্বাধীন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। এ ব্যাপারে শেখ সাদীর পরিবার সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শেখ সাদীর মা লাইজু বেগম জানান আম্মুর রাজকন্যা আইডি থেকে হিরা মনি নামে একটি মেয়ে প্রায়ই তার ছেলেকে ডিস্টার্ব করত। হিরা মনি শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের জগদ্দল গ্রামের বিল্লাল ফকিরের কন্যা। শেখ সাদী রামকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। শেখ সাদীর রোল নাম্বার ৫০। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে বিল্লাল ফকির মামলার বাদি। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন তার কন্যা হিরা মনি রাম কাঠি গ্রামের হোসেনের পুত্র। শেখ সাদীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই শেখ সাদী হিরা মনিকে কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন গত ৮/৪/২৫ তারিখ রোজ মঙ্গলবার রাত ৯ টায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হিরা মনির সাথে জরুরী কথা আছে এ কথা বলে বিল্লাল ফকিরের ঘরের পশ্চিম পাশে জঙ্গলে হীরা মনিকে নিয়ে যায়। আজই বিয়ে করবে হিরা মনিকে শেখ সাদি জানায়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে শেখ সাদী হিরা মনিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গত ৯/৪ / ২৫ তারিখ এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে কাউনিয়া থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে১৫/ ৪ /২০২৫ তারিখ বরিশাল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন । নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবোনাল আদালতের মামলা নাম্বার

 

এমপি ১৪৯/২০২৫। আদালতের নির্দেশে কাউনিয়া থানা ২১/৪/২৫ তারিখ মামলা রুজু করেন। মামলা নম্বর ৯/৬৭ তারিখ ২১ /৪/ ২০২৫। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর নয় এর এক । মামলার রেকর্ড অফিসার নাজমুল নিশাত, পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র কাউনিয়া। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার এসআই আল মামুন ৩০/৪ /২০২৫ তারিখ বিকেল চারটায় বরিশাল বিমানবন্দর থানার সোনামিয়ার পোল হতে পুলিশের সহায়তায় শেখ সাদী কে গ্রেফতার করে। গত পহেলা মে আদালতের মাধ্যমে সেখ সাদীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

মামলার সূত্র ধরে এলাকা পরিদর্শন কালে জগদ্দল গ্রামের মসজিদের ইমাম গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আত্মীয়-স্বজন জানান ১৪ লক্ষ টাকা ঋণের দায়ে এক বছর পূর্বে বিল্লাল ফকির এলাকা ছেড়েছে। হীরামনি এবং তার পরিবার এলাকায় অনেক অপকর্ম করেছে তার সাক্ষী বহু রয়েছে। হীরামনি, মুক্তা এই দুই বোনের অত্যাচারে এলাকাবাসীর অতিষ্ট এমনটি দাবি করেছেন স্কুল-কলেজের ছাত্ররা ।রাম কাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর ছাত্র হিরা মনির চাচাতো ভাই সিফাত জানিয়েছে এক বছর আগে গ্রাম ছেড়েছে হিরা মনি। জগদ্দল জামে মসজিদের ইমাম কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন তিনি মসজিদে প্রায় দেড় বছর ইমামতি করেন। মসজিদের সামনে বিল্লাল ফকিরের বাড়ি। বিলাল ফকির কিংবা হিরা মনিকে দেখেননি। জগদ্দল গ্রামের হীরা মনির চাচী সুমা বেগম জানান, হিরা মনি প্রায় বছর খানেক আগে এলাকা ছেড়েছে। হিরা মনির বাপ বিল্লাল ফকির মোটেও ভালো না। পুত্রবধূদের দিয়েও ব্যবসা করাতেন। বিল্লাল ফকির এলাকায় প্রায় ১৪লক্ষ টাকা ঋণের দায় গ্রাম থেকে বিল্লাল ফকির পালিয়ে গিয়েছে। জগদ্দল গ্রামের ছত্তার হাওলাদারের স্ত্রী শেফালী বেগম জানান বিল্লাল ফকিরের পাশের ঘর তার ধর্ষণ সংক্রান্ত কোনো ঘটনা একমাস আগে ঘটতো তিনি সবার আগে জানতেন। শেফালী বেগম বলেন তারা তো এক বছর আগে গ্রাম ছেড়েছে। একমাস আগে ধর্ষণ মামলা কি করে হয়। শেফালী বেগম বলেন তিন মাস পূর্বে তার বোনের ছেলে সমীর কে ঢাকার লঞ্চে জোরপূর্বক আটকে তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে হিরা মনি এবং তার পরিবার। জগদ্দল গ্রামের মামুন হোসেন জানান হীরা মনি এবং তার পরিবার দীর্ঘদিন গ্রামে নেই।ধর্ষণ মামলা হয়েছে বলে তিনি জানেন না এবং গ্রামের কেউই জানে না। ৭০ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল বারী জানান ধর্ষণ মামলা হয়েছে হয়েছে আপনাদের কাছেই শুনলাম কোন দারোগা পুলিশ আমাদের গ্রামে আসেনি।

জগদ্দল গ্রাম থেকে ৬ কিলো দূরে রাম কাঠিগ্রাম গ্রামে শেখ সাদীর বাড়িতে গেলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। শেখ সাদীর বড় ভাই আব্দুল আলিম, তার চাচাতো বোন রিপা, শেখ সাদীর চাচা আব্দুস সুবাহান হাওলাদার সহ অন্যান্য এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে তারা সবাই ষড়যন্ত্রের শিকার। শেখ সাদীর বাবা আট বছর পর্যন্ত বিদেশে থাকেন। একই বাড়ির রহমান হাওলাদানের পুত্র হেলাল এবং জালাল উদ্দিন তারা হিরা মনিকে দিয়ে এই মিথ্যা মামলা করিয়েছেন। এদিকে একটি সূত্র দাবি করেছে চুরামন বাজারের মোটরসাইকেল চালক রাকিব মৃধা হিরা মনির সাথে দীর্ঘদিন প্রেম করেছে। চার বছর পূর্বে রাকিব বিয়ে করার কারণে হিরা মনির সাথে প্রেম শেষ হয়ে যায়। রাকিব মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে । স্ত্রীর দাবি নিয়ে শেখ সাদীর বাড়িতে আসলে কোন আশ্রয় না পেলে ওই রাতে হীরা মনি রাকিবের বাড়িতে রাত্রি যাপন করে।

শেখ সাদীর মা লাইজু বেগম জানান তার ছেলে শেখ সাদী ব্যবসা করার জন্য ৫/৪/২০২৫ তারিখ চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকা যান । ঢাকা যাবার পরে ছলেবলে হিরামনি ঘরে আটকে জোরপূর্বক ছবি তোলে। একপর্যায়ে হিরা মনি এবং তার পরিবার তার ছেলেকে মারধর করে কোনরকম প্রাণে বেঁচে আসে তার ছেলে। শেখ সাদীর দুই বোন মার্জিয়া এবং মিথিলা বলেন মিথ্যে ধর্ষণ মামলায় তাদের ভাই শেখ সাদীকে আসামি করা হয়েছে । কান্না জড়িত কন্ঠে মিথিলা এবং মারজিয়া বলেন কেন তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এই মিথ্যে মামলা দায়ের করা হলো এর পিছনে কারা রয়েছে তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন তারা। মিথিলা বলেন এজাহারে তার ভাইয়ের বয়স ২১ বছর হলেও তার ভাইয়ের বয়স বর্তমানে ১৬। মারজিয়া বলেন হীরা মনি এত ক্ষমতা কোথায়?