
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল জেলার উজিরপুরে একই দিনে গলায় ফাঁস দিয়ে দুই কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের মশাং গ্রামের মোঃ লিটন হাওলাদারের ছেলে মোঃ সাব্বির হাওলাদার (১৭) সোমবার (২৬ মে) রাতে বসতঘরের আড়ার সাথে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সাব্বিরের বাবা-মা ও দুই ভাই ঢাকায় থাকেন। সে একা বাড়িতে থাকতো।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে পাশের বাড়ির কিশোরের চাচাতো ভাই মোবাইল সমস্যার জন্য সাব্বির হাওলাদারের কাছে যায়। এরপর সে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায় এবং অনেক ডাকাডাকির পর জানালার ফাঁক দিয়ে চোখ রাখলে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাব্বির হাওলাদারের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার করে। এ খবরে আশপাশের লোকজন মিলে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অপরদিকে চকমান গ্রামের ওমর আলি হাওলাদারের মেয়ে জবেদা আক্তার (১৫) বসতঘরের আড়ার সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে রাতে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে একসাথে রাতের খাবার খেয়ে স্বামীর সাথে রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তার স্বামী ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রী জবেদা আক্তারকে বাসার রুমের ভিতর কাঠের আড়ার সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার করলে বাসা থাকা তার খালা-খালুসহ আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। তবে পরিবারের লোকজন জানায়- তার সাথে কারো কোনো মনমালিন্য ছিলোনা। জবেদা আক্তারের তার স্বামীর সাথে ৬ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ হয়।
উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আত্মহত্যার কারন জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান- দুজনেরই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।