ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৯ মে ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নি*ম্ন*চা*পে*র প্র*ভা*বে বরগুনায় তলিয়েছে ফেরিঘাটের গ্যাং*ওয়ে, ভো*গা*ন্তি*তে যা*ত্রী*রা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মে ২৯, ২০২৫ ১০:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে বরগুনার বিভিন্ন এলাকার ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে। এতে যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এ ছাড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি প্রবেশ করেছে ঘাট এলাকার বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে।

নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনায় বর্তমানে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পায়রা, বলেশ্বর এবং বিষখালী নদীর পানি। এতে তলিয়ে গেছে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেরি বাঁধের বাইরে থাকা বাসিন্দাদের বসতঘর তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে বড়ইতলা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে। এতে একদিকে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে বের হওয়া যাত্রীরা। অপরদিকে ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পারাপার।

পাথারঘাটা থেকে বরগুনায় আসা মো. মেহেদী হাসান নামে এক যাত্রী বলেন, পাসপোর্ট তৈরি করতে আমাকে জরুরি বরগুনায় আসতে হয়েছে। তবে সকালে যে পরিমাণ পানি ছিল এখন তা আরও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোনো দুর্যোগ হলেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। নদীতে যাদি একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয় তাহলে আর আমাদের এমন দুর্ভোগে পড়তে হবে না।

গোলাম আাজাদ নামে আরেক যাত্রী বলেন, প্রতিবছর যে কোনো দুর্যোগের সময় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘাট এলাকা তলিয়ে যায়। এ সময় পাথারঘাটা থেকে কেউ যদি রোগী নিয়ে জরুরি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালেও যেতে চায়, তা অনেক সময় সম্ভব হয় না। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় আমাদের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয়।

বড়ইতলা ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী মো. আজিজ বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে এ এলাকায় ব্যবসা করছি। প্রতিবছরই কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের দোকান তলিয়ে যায়। এতে আমাদের যে ক্ষতি হয় তা কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারও একই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত বরগুনায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আমরা পাইনি। তবে জোয়ারের পানিতে কিছু নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়ইতলা ফেরিঘাট এলাকার ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। আমরা আশা করছি, জোয়ারের পানি কমে গেলেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ ছাড়া যদি কোথাও পানিতে প্লাবিত হয়ে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।