
নিউজ ডেস্ক ::
জাহাঙ্গীর আলমের অর্থে আন্দোলন পরিচালনার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থনৈতিক সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় এনবিআর কর্মকর্তারা। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাকরি বাণিজ্য, রাজস্ব ফাঁকি, ও ঘুষের বিশাল চিত্র।
এনবিআরের একটি অংশ বিশেষ বর্তমানে আন্দোলন করলেও এর পেছনে সক্রিয় রয়েছে আওয়ামী কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত একটি চক্র। এই চক্রটি জাহাঙ্গীর আলম নামক এক রাজস্ব কর্মকর্তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রের রাজস্ব খাতে চুরি ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে অভিযোগ। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আওয়ামী লীগের আমলে গোপন সিন্ডিকেটে যুক্ত এই কর্মকর্তা আন্দোলনকে সরকার পতনের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছেন।
—
. আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা:
এনবিআরের আন্দোলন সরকারের বিভাগ পুনর্গঠনের প্রতিবাদে শুরু হলেও, তা এক পর্যায়ে রাজনৈতিক রূপ নিতে শুরু করে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের ছায়ায় থাকা কর্মকর্তারা আন্দোলনকে সরকারবিরোধী মোড় দিতে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
. জাহাঙ্গীর আলম: একজন ‘মাস্টারমাইন্ড’ কর্মকর্তার প্রোফাইল:
টঙ্গী-জোন-২ এর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিমাণ বিস্ময়কর।
ঘুষ, চাকরির প্রশ্ন ফাঁস, রাজস্ব ফাঁকি, এমনকি স্বজনপ্রীতি—সবকিছুই রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
. চাকরি বাণিজ্যের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক:
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে অন্তত ৩০ জন আত্মীয় ও স্বজনকে ঘুষের বিনিময়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা সহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে তার মাধ্যমে।
. দুর্নীতির অভিযোগে অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা এবং ‘অদৃশ্য শক্তির’ ছায়া:
ইতোমধ্যে শফিকুল ইসলাম আকন্দ, মাহমুদুজ্জামান, আবু সাইদ মোশতাক প্রমুখ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হলেও, জাহাঙ্গীর এখনও বহাল তবিয়তে।
স্থানীয় সূত্র মতে, তার রাজনৈতিক যোগসূত্র ও পূর্ব ক্ষমতাসীনদের সাথে গভীর সম্পর্ক তাকে রক্ষা করে আসছে।
. আন্দোলনের তহবিল কোথা থেকে?
গোপন সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর প্রতিদিন আন্দোলনের পেছনে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করেন।
এর উৎস হিসেবে তার পূর্ব দুর্নীতির টাকার কথা বলছেন সহকর্মীরাই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আন্দোলন শুধু প্রশাসনিক নয়, রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হতে পারে।
সরকারের কাছে আহ্বান, জাহাঙ্গীরের মতো ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্তের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
> “এ বিষয়ে টঙ্গী-জোন-২ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।”