
নিউজ ডেস্ক :: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কলেজছাত্র জামসেদুর রহমান মিয়াজি জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ায় সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হককে প্রধান আসামি করে ৪২ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার ১১ মাস পর সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন নিহতের চাচা মো. আইয়ুব মিয়াজী। এতে ৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত জামসেদ কুমিল্লার সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ছিল। এছাড়াও সে কোটা সংস্কার দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। গত বছরের ৫ আগস্ট জামসেদুর রহমান সকাল থেকে চৌদ্দগ্রামে কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। ওই দিন সরকার পতনের খবর শুনে হাজার হাজার ছাত্র জনতা বিজয় মিছিল করে।
এ সময় মুজিবুল হকের নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রাম বাজারে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের আশপাশ থেকে আন্দোলনকে দমন করার জন্য আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জামসেদুর রহমান নিহত হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বিপ্লব, সোহেল, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হালিম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়ের হোসেন শুভ, সৈকত, বাবলু মোল্লা, আবু তাহের, সুমন রেজা, মো. শাহিন, তোফায়েল, মোশাররফ, আলী হোসেন লিটন, হারুনুর রশিদ মাছুম, রাকিব, গাজী শহিদ, রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, গাজী কাজল, ইমান আলী, মো. ইউসুফ, তুরাজ মজুমদার, আরশ মজুমদার, আলমগীর মেম্বার, নুরুল হুদা ফকির, একরামুল হক, কাজী মাছুম বিল্লাহ, পারভেজ, ফখরুল ইসলাম মেহেরাজ, নুর উদ্দিন রাজিব, সাবেক চেয়ারম্যান জিএম জাহিদ হোসেন টিপু, যুবলীগ নেতা মহিবুল আলম কানন মজুমদার, সুব্রত টোটন, ইয়াছিন আরাফাত, দ্বীন মোহাম্মদ সোহাগ, শামীম, জিহাদ হোসেন জাবেদ, সাজ্জাদ, লিয়াকত উল্লাহ সাগর, মাইন উদ্দিন দীপু, জামাল হোসেন ও হাফেজ বেলাল
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, সোমবার রাতে মামলাটি থানায় এফআইআরভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক আছেন। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।