
নিজস্ব প্রতিবেদক :: জমি নিয়ে দুই পক্ষের তর্ক-বিতর্কের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় এক সালিশদার একটি লাঠি নিয়ে উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিলে আশেপাশে থাকা কতিপয় দুষ্কৃতকারী ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ভূমিদস্যু বলে অপপ্রচার শুরু করেছেন। এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ড সামসুউদ্দিন কন্ট্রাকটর বাড়ির মো. আনসার আলীর ছেলে মো. মাসুদ।
বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের আজিজিয়া হাউজিং এর মধ্যে ২২ শতাংশ জমি জালিয়াতি পূর্বক মো. এমরানুল হক (৪৫) জবর দখলে থাকে। জমির প্রকৃত মালিক হলেন- মো. রুস্তুম আলী শিকদার ও মুনসুর আলী শিকদার গং। এই জমির গংদের থেকে পাওয়ার নিয়ে মালিক হন মো. দেলোয়ার মীর ও আরিফুল ইসলাম পলাশ। এমতাবস্থায় মধ্যস্থতাকারী (সালিশদার) হিসেবে আমি আগমন করি। ০১/০৭/২৫ তারিখে বিকেল সাড়ে তিনটায় বরিশাল জজ কোর্ট দারা নির্ধারিত ওকিল কমিশনার হিসেবে নিয়োজিত হন মো. তহিদুল ইসলাম সোহেল। তিনি উভয়পক্ষের কাগজ যাচাই-বাছাই করে দু’পক্ষকে আদালতে জমা দেয়ার কথা বলেন। এরপর ওকিল কমিশন ওই জমি সংলগ্ন ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে বহিরাগত মো. রাজ্জাক হোসেনের সাথে জমির মালিক মো. দেলোয়ার মীর ও আরিফুল ইসলাম পলাশের সাথে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় আমি একটি লাঠি টুকরা নিয়ে উভয় পক্ষকে ধাওয়া দেই। এমন সময় আশেপাশে থাকা কতিপয় দুষ্কৃতকারী লোক ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে। যাহা সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা প্রচারণা।
আমি উভয় পক্ষকে শান্ত করতে চেয়েছিলাম। ক্ষণিকের সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমাকে ভূমিদস্যু বলে অপপ্রচার শুরু করেছে। যেখানে আদালতের নির্দেশে ওকিল কমিশন ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের কাগজপত্র জমা দেয়ার আদেশ প্রদান করেছেন। সেখানের সেই জমি আমি কীভাবে দখল করি বা দখলের সহায়তা করি। এটা আমার বোধগম্য নয়। অথচ ষড়যন্ত্রপূর্বক রাজনৈতিক হিংসা প্রতিহিংসার জের ধরে আমাকে কূটকৌশলে ফাঁসানোর পাঁয়তারা চলছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন তিনি।