
নিউজ ডেস্ক :: স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতা, বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য এবং রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রভাবে আতঙ্কিত অবস্থায় দায়িত্ব পালনের অভিযোগ তুলে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, সবার দাবির প্রেক্ষিতে আগামী দুদিনের জন্য জরুরি সেবা ব্যতীত সব চিকিৎসাসেবা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সময়ে জরুরি বিভাগ চালু থাকবে।
শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটি (আইডিএস), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ শাখার এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাময়িক কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও হাসপাতাল এলাকা এখনো সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়নি। বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক কর্মসূচির প্রভাব এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ভীতি বিরাজ করছে।
আইডিএস’র পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা রোগীদের কষ্ট দিতে চাই না, তাই জরুরি সেবা চালু থাকবে। তবে নিরাপত্তাহীন পরিবেশে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধাপে ধাপে কর্মসূচি চলবে।
এর আগে ১১ জুলাই নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। একই দিনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন এবং তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— চাঁদাবাজ ও বহিরাগতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া, ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী সমাধান পরিকল্পনা দেওয়া।
এদিকে, শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের একযোগে চলমান এই আন্দোলন বর্তমানে কলেজ ও হাসপাতাল দুটির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বড় ধরনের চাপ ফেলেছে। তবে তীব্র উদ্বেগ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এ ইস্যুতে এখনো পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা হাসপাতাল পরিচালকের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আন্দোলনরতরা বলছেন, প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন না এলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে এবং স্বাস্থ্যসেবায় বড় ধরনের অচলাবস্থাও সৃষ্টি হতে পারে।