
নিউজ ডেস্ক :: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে মুসুল্লিয়াবাদ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক বর্ষা এলেই চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে সড়কটিতে হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দ। ফলে শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক ও সাধারণ পথচারীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এ সড়কটি মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—মুসুল্লিয়াবাদ একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। শুষ্ক মৌসুমে ভ্যান, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করলেও বর্ষায় তা পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে সড়কটি কাঁচা অবস্থায় রয়ে গেছে। জনপ্রতিনিধিদের বারবার বললেও এখনো পাকা হয়নি। গর্ভবতী নারী, অসুস্থ রোগী বা শিশু-বৃদ্ধদের চলাচল এখানে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কৃষকেরাও তাঁদের ফসল বাজারে পৌঁছাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন—খরচ বাড়ে, সময় নষ্ট হয়। এ সড়ক কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তায় পর্যটকেরা রাখাইন তাঁতপল্লি, রাখাইন জাদুঘর ও গঙ্গামতি সৈকতে সূর্যোদয় দেখতে যান।
ফলে পর্যটনশিল্পেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন মুসুল্লি সুলতান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা সড়কটি একইভাবে পড়ে আছে। জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছার অভাবেই এটি এখনো পাকা হয়নি। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত এ সড়কটি পাকাকরণ জরুরি।’
কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখনো কাঁচা রয়েছে। বরাদ্দ না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। তবে নতুন প্রকল্প আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব সড়ক পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কুয়াকাটার উন্নয়ন ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে এই সড়কটি দ্রুত পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি।