ঢাকাবুধবার , ১৬ জুলাই ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল মডেল কলেজের অ*ধ্য*ক্ষে*র দু*র্নী*তি তুলে ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ১৬, ২০২৫ ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বিশেষ প্রতিনিধি :: বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত এর অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত পুর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা সচিবের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট এম.মাসুদ হাওলাদার।

শিক্ষা সচিব বরাবরে লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়,৭ জুলাই বরিশালের স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি,অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত এর অভিযোগের বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করি। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমেও বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত এর অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হই।

এমতাবস্থায় বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি,অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত এর জন্য তদন্ত পুর্বক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে বর্তমান পদ থেকে বরখাস্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয় আবেদনে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট এম.মাসুদ হাওলাদার বলেন, আমি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিবের নিকট জনস্বার্থে লিখিত আবেদন করেছি। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনা দুঃখজনক।

তিনি আবেদনের অনুলিপি দুদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রদান করেন।

উল্লেখ্য,বরিশালের স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকায় এবং অনলাইন গনমাধ্যমে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি,অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদগুলো এ্যাডভোকেট এম.মাসুদ হাওলাদারের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ১৪ জুলাই শিক্ষা সচিব বরাবরে লিখিত আবেদন করেন।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে আর্থিক অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, অনিয়ম, সরকারি টাকা আত্মসাৎ, কর্তব্যে অবহেলা, সরকারি অর্থ আত্মসাতে সহযোগীতা প্রদান, স্বেচ্ছাচারিতা, গোপনে নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা নয়ছয়সহ নানা অভিযোগ। এছাড়া সংবাদে উল্লেখ করা হয়, অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব নেয়ার পরেই আবু মামুন পছন্দের কয়েকজন শিক্ষকদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট সদস্যদের দেয়া হয় বিধি বহির্ভুত সুযোগ -সুবিধা।এমনকি পরীক্ষার ডিউটি আদায় না করলেও দেয়া হয় পরীক্ষা ডিউটির সম্মানী। আবু মামুনের আর্থিক অনিয়মের পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলা, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব এবং দুর্নীতির কারণে কলেজের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এসব সংবাদ প্রকাশের পর কয়েকটি পত্রিকায় টাকার বিনিময়ে প্রতিবাদ লিপি ছাপিয়ে তা বিভিন্ন দপ্তরে বিলি করেন অধ্যক্ষ আবু মামুন। সেই প্রতিবাদ লিপিতে সংস্লিষ্ট প্রতিবেদককে মডেল কলেজ বিরোধী চক্র আখ্যা দেওয়া হয়। অবশ্য পরে এ ধরনের বাক্য ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।