ঢাকামঙ্গলবার , ৫ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডেসটিনির আর্থিক কে*লে*ঙ্কা*রির মা*ম*লা থেকে অ*ব্যা*হ*তি মিলবে সাবেক সেনাপ্রধানের

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ৫, ২০২৫ ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় অব্যাহতি পাবেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ। সোমবার (০৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসের ৩০৮ নম্বর রুম থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার সময় তার মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরআগে রোববার (০৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসেন এম হারুন-অর-রশিদ।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে ২০২৩ সালের ১৬ মে তারিখে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ (৪৮) আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন নগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তারপুল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রেজা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। এখন মামলাটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ বিচারক ইব্রাহিম খলিলের আদালতে চলমান। মামলায় আসামিরা হলেন ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ডায়মন্ড অ্যাক্সিকিউটিভ সুবোধ চন্দ্র রায় (৪২), ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন (৫২), চেয়ারম্যান ডিটিপিএল লে. জে. (অব.) এম হারুন-অর রশিদ, পরিচালক মোহাম্মদ গোফরানুল হক (৪৬), পটিয়া এজেন্সি প্রধানের ব্যক্তিগত সহকারী তপন চন্দ্র দাশ তপু (৪৬), সিইও ডক্টর সামশুল আলম ভূঞা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন, ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারির একটি মামলায় হাজিরা দিতে তিনি রোববার বিকালে চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রাম ক্লাব গেস্ট হাউজের ৩০৮ নম্বর কক্ষে তিনি উঠেছিলেন। সোমবার মামলার হাজিরার তারিখ ছিল। আমরা সবাই কোর্টে এসেছি। কিন্তু সময় হয়ে যাওয়ার পরও ওনি আসছিলেন না, ওনাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না। ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন বলেন, এর আগেও আমরা এই মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য কয়েকবার চট্টগ্রামে এসেছি। মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) সকালে ওনার ফ্লাইট বুক করা ছিল। আমরা সোমবার চলে যাব। এভাবে কথাবার্তা হয়েছে। এর মধ্যে এই দুঃসংবাদ পাই।’

চট্টগ্রাম আদালতের আইজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ কালবেলাকে বলেন, ‘অভিযুক্তকারী আসামি যেহেতু মারা গিয়েছেন সে সুবাধে তিনি এ মামলা হতে অব্যাহতি পাবেন। তবে তার মৃত্যুর সনদসহ যাবতীয় কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করতে হবে।’

জেলা আইনজীবী মীর শফিকুল বিজন কালবেলাকে বলেন, ‘চলমান মামলায় অভিযুক্ত আসামি মারা যেতেই পারে। মামলা বিচারাধীন না হলে মৃত্যুবরণকারী আসামি মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন।’