
নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার ও ইদ্রিস নামের এক জেলের মরদেহ ভেসে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সৈকতের ডিসি পার্কসংলগ্ন সাগরে ট্রলার ও মরদেহটি ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে নৌপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত জেলে ইদ্রিস কলাপাড়া উপজেলার মধুখালীর বাসিন্দা। তার পরনে একটি লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট ছিল। লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট দেখে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন তার ভাতিজা সাগর।
নিহত জেলে ইদ্রিসের ভাতিজা সাগর বলেন, আমি গত ২৬ জুলাই এ ট্রলারেই চাচার সঙ্গে ছিলাম। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাচাও ডুবে যায়। এ সময় চাচার পরনে লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট ছিল।
ট্রলারের থাকা জেলেরা জানান, জাল ফেলার কিছু সময় পরই হঠাৎ এক ঝড় ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি। মুহূর্তেই ট্রলারটি দুমড়েমুচড়ে ডুবে যায়। শুরুতেই একজন জেলে ঢেউয়ের তোড়ে নিখোঁজ হন। এরপর বাঁশ ও ফ্লুটের (ভেসে থাকার সরঞ্জাম) সাহায্যে ১৪ জন ভাসতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে আরও পাঁচজন ঢেউয়ের তোড়ে নিখোঁজ হয়ে যান। তারা শেষ বঙ্গোপসাগরের বয়া সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছান। সেখান থেকে সোমবার রাতে দুটি মাছ ধরার ট্রলার ৯ জনকে উদ্ধার করে মহিপুর মৎস্যবন্দরে নিয়ে আসেন।
কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মন্ডল বলেন, কুয়াকাটা ডিসি পার্ক সংলগ্ন সাগরে একটি ট্রলারসহ জেলে মরদেহ ভাসছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরনে একটি লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট রয়েছে। গেঞ্জি প্যান্ট দেখে তার ভাতিজা সাগর তার চাচা ইদ্রিস বলে দাবি করেন। সুরহাতাল শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ২৬ জুলাই সকাল ১০টার দিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়া থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ১৫ জন জেলে নিয়ে ট্রলারটি ঢেউয়ের কবলে পরে ডুবে যায়। পরে চার দিন সাগরে ভেসে থাকার পর জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ৯ জনকে। নিখোঁজ ৬ জনের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামের এক জনের লাশ ১ আগস্ট কুয়াকাটার মীরা বাড়ি সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়। এখনও আবদুর রশিদ, রফিক, হারুন ও কালাম নিখোঁজ রয়েছে।