নিউজ ডেস্ক :: নেছারাবাদে মিরাজুল ইসলাম(২৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মোবাইলে জুয়া খেলে হেরে ধারাবাহিক প্রতারণা ও চুরি করে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের ব্যবসায়ী ভাইসহ এলাকার দোকান বাড়ী ঘর থেকে প্রতারণা করে টাকা পয়সা নিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকার সামনে থেকে একটি বিকাশের দেকান থেকে সতের হাজার টাকা ও একটি মোবাইলফোব চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনার দুইদিন পরে জনতার হাতে আটক হয় ওই যুবক। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পুরানো কোড বিল্ডিং সড়কের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। ওই যুবক উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বছরাকাঠি গ্রামের ধর্নাঢ্যবান মো: মিজানুর রহমান বাবুলের ছেলে।
বাবুল মিয়া এলাকার কথিত ধনকুবের। ছেলের চুরির বিষয়ে তার পিতাকে ফোন দিয়ে জানালে তিনি বলেন তাকে মেরে শেষ করে দিন। আমি আর পারছিনা। ওই দোকান মালিক মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত দু’দিন পূর্বে আমার দোকানে এসে যুবকটি একটি নাম্বারে আমাকে সতের হাজার টাকা দিতে বলে। আমি তার দেয়া নাম্বারে টাকা পাঠাই। এসময় আমার দোকানে একটু কাস্টমারের চাপ ছিল। ওই যুবক ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে দোকান থেকে আমার একটি মোবাইল ফোন নিয়ে কৌশলে সটকে পড়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহিদ স্মৃতি কলেজ রোড থেকে দোকানে আসছিলাম। এসময় তাকে চিনতে পেরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটকে রেখেছি। আটক মিরাজ বলেন আমি একটু অসুবিধায় আছি। তাই নিরুপায় হয়ে ওই দোকান থেকে ওইভাবে টাকা ও মোবাইল নিয়েছি। এ বিষয়ে আটক যুবক মিরাজের পিতার নাম্বারে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যার টাকা নিয়েছে।
তাকে ধরে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন আপনারা। আমি এর দায়ভার নিতে পারবনো। আমি আর পারছিনা। স্থানীয় মো. মুন্না বলেন, মিরাজ একজন চিহ্নিত প্রতারক মাস দুয়েক পূর্বে সে প্রতারণা করে একটি বিকাশের দোকান থেকে দশ হাজার টাকা নিয়েছিল।
সে মূলত অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. শামীম মিয়া বলেন, আটক মিরাজের পিতা সোহাগদলের নামকরা একজন ধনী ব্যক্তি। তার ছেলে নেশা করে। সবসময় এলাকায় চুরি ছিনতাই করে। এমন অভিযোগের শেষ নেই। সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত।