
নিউজ ডেস্ক :: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন আলোচিত শ্রমিক লীগ নেতা নাজমুল হক ইমু (২৯), যিনি সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের দাবি করে আলোচনার কেন্দ্রে আসেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হান্নান। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা এলাকায় র্যাব-৪-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
গ্রেপ্তার নাজমুল আশুলিয়ার জামগড়ার বাবুল হোসেন ওরফে জসিমের ছেলে। তিনি আশুলিয়া থানা শ্রমিক লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সদস্য ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ইমু দীর্ঘদিন ধরেই গোপনে ক্ষমতাসীন দলের পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছিলেন। পলাতক আওয়ামীপন্থি একাধিক নেতার সহায়তায় তিনি বিভিন্নভাবে অর্থ ও লোকবল পাচ্ছিলেন।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা যায়, ইমু শুধু শ্রমিক লীগে নয়, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
তার একটি ফেসবুক ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন তিনি। ভিডিওতে ইমুকে বলতে শোনা যায়, ‘গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক জিয়া লন্ডনে লুকিয়ে আছে। তাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান। তাদেরও এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।’
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই তিনি আবারও আত্মগোপনে চলে যান।
আশুলিয়া থানার ওসি জানান, ছাত্র-জনতা হত্যার মামলার আসামি হিসেবে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।