
নিজস্ব প্রতিবেদক :: কমল ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম।
ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি খাতের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের দাম কেজিতে কমল ২৪ পয়সা। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ১২ কেজিতে দাম কমেছে ৩ টাকা। গত মাসে কমেছিল ৯১ টাকা। চলতি সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৭০ টাকা।
গত মাসে দাম ছিল ১ হাজার ২৭৩ টাকা। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক এই দাম ঘোষণা করেন। আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে বাজারে নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি না হওয়ার অভিযোগ আছে।
এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালির কাজে। বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১০৫ টাকা ৮৭ পয়সা। গত মাসে তা ছিল ১০৬ টাকা ১১ পয়সা। অর্থাৎ এ মাসে দাম কেজিতে কমেছে ২৪ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
বাজারে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডার পাওয়া যায়। সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির দাম প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত মাসে তা ছিল ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো।
এটি সৌদি কার্গো মূল্য নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।