ঢাকাশুক্রবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল শেবাচিমের বিতর্কিত ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌস এখনো বহাল

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫ ৪:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার :: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিতর্কিত ওয়ার্ড মাস্টার মশিউল আলম মল্লিক ওরফে ফেরদৌস এখনো বহাল তবিয়তে। অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি, ডিসপেন্সরী থেকে ৩০ লক্ষাধিক টাকার ঔষধ চুরি, অবৈধ সুবিধা নিয়ে আউটসোর্সিং নিয়োগ সহ নানা কান্ডে আলোচিত ফেরদৌস। তাছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক (ফাসিস্ট) মেয়র ও মহানগর আ.লীগের সেক্রেটারি সাদিক আবদুল্লাহর বিশ্বস্ত লাঠিয়াল ছিলেন তিনি। জুলাই বিপ্লবের পর ভোল পাল্টে এখন পুরো হাসপাতালের চার্জ নিয়ে টাকা কামাচ্ছেন দু’হাতে। ফেরদৌসের অন্যতম সহযোগী তাইজুল ছিটকে পড়লেও ফেরদৌস এখনো রয়েছে দুধে-ভাতে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১ মার্চ হাসপাতলের ঔষধ চুরির সময় হাতেনাতে ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌসকে আটক করে যৌথবাহিনী। এরপরে শেবাচিমের তৎকালীন উপ-পরিচালক ডাঃ সুভাস দাশ কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। যার সূত্র নং ৩২৫৯/০৭। সেখানে ফেরদৌসের বিরূদ্ধে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ঔষধ চুরির কথা উল্লেখ করা হয়। পরবর্তিতে জেলা আ.লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হস্তক্ষেপে সেসব অভিযোগ গিলে ফেলে ফেরদৌস।
এদিকে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে করোনা ওয়ার্ড থেকে ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরির অভিযোগ ওঠে ফেরদৌসের বিরূদ্ধে। তখন তৎকালীন সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই কমিটি তদন্তকালে ফেরদৌসের সরাসরি সম্পৃক্ততা পেলে বিসিসির তৎকালীন মেয়র সাদিকের হস্তক্ষেপে সেই তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। ফলে ফেরদৌসের বিরূদ্ধে সকল তথ্য প্রমাণ থাকা সত্তেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয়নি।
তছাড়া এসব নানা অপকের্মর প্রেক্ষিতে ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌসকে মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার অন্যত্র বদলীর আদেশ দিলেও সাদিক আবদুল্লাহ তার পিতাকে দিয়ে সেসব বদলি অর্ডার বাতিল করান।
সাদিকের জন্মদিন পালন, বিসিসি নির্বাচন কালীন সময়ে দিনরাত ডিউটি ফেলে সাদিকের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিল ফেরদৌস। জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতা দমনে সাদিক ও সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতের সাথে হামালায় সরাসরি অংশ নেয় ফেরদৌস। ৩ আগস্ট চৌমাথা এলাকায় বিএনপি নেতা জিয়া শিকদারের উপর হামলার ঘটনায়ও সাজ্জাদ সেরনিয়াতাবাতের সাথেই ছিল ফেরদৌস। এমন একজন দাগী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগার এখনও শেবাচিম হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকে কিভাবে ? জনমনে প্রশ্ন।

সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্টজন পরিচয় দিয়ে সেই প্রভাবে তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও ফ্যাসিবাদের দোসর ওয়ার্ড মাস্টার মশিউল আলম মল্লিক ওরফে ফেরদৌস এখনো বহাল তবিয়তে । তার মত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা এখনো কিভাবে চাকরিতে বহাল আছেন ? তাকে দ্রুত চাকরি থেকে অপসারণ করে গ্রেফতারের মাধ্যেমে শাস্তির আওতায় আনার দাবী সচেতন মহলের।