
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে চার বিয়ের নাটক, প্রতারণা-চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ে সাবেক ‘সমন্বয়ক’ মারজুক নিয়ে নগরীতে তোলপাড়, চার স্ত্রীর আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি, গণধোলাই খেয়ে হাসপাতালে মারজুক।
বরিশালে আলোচিত-সমালোচিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির বহিষ্কৃত যুগ্ম সদস্য সচিব ও স্বঘোষিত সমন্বয়ক মারজুক আব্দুল্লাহর চার বিয়ে, প্রতারণা ও চাঁদাবাজির নানা কাহিনি এখন নগরীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
মিথ্যা মামলা দিয়ে টাকা আদায়, ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভুয়া কাগজপত্রে বিয়ে ও নারীদের ব্ল্যাকমেইলসহ একাধিক অভিযোগে একজোট হয়েছেন তার চার স্ত্রী। তারা মারজুকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সম্প্রতি নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও জনতা মারজুককে গণধোলাই দেয়। বর্তমানে তিনি শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল বাকেরগঞ্জের কাজলাকাঠীর মেহেরুন্নেছাকে বিয়ে করেন মারজুক। সেই সংসারে এক সন্তানের জন্মও হয়। কিন্তু পরকীয়া সম্পর্কে জড়ানোর কারণে মেহেরুন্নেছাকে নির্যাতন করলে চলতি বছরের ১৮ আগস্ট তিনি ডিভোর্স দেন। এরপর মেহেরুন্নেছা ও তার পরিবারকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে মারজুকের বিরুদ্ধে।
এছাড়া আলেকান্দা কলেজের এক জুনিয়র ছাত্রী ও কাউনিয়ার এক টিকটকার তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। টিকটকার নারীকে তিনি বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কুয়াকাটায় নিয়ে যান। সেখানে হোটেল সানফ্লাওয়ারের ৫০৪ নম্বর কক্ষে উঠে ওই তরুণীকে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিয়ে করেন। ওই তরুণী মারজুকের প্রতারণা বুঝতে পেরে নিজেকে সরিয়ে নেন। কুয়াকাটার এক হোটেলে ভুয়া কাগজপত্রে বিয়ে করার ঘটনাও ফাঁস হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, “দুই সন্তানের এক জননীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া, নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় ও একের পর এক বিয়ের নাটক—সবই ছিল মারজুকের পুরনো অভ্যাস।”
তবে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় মারজুক আব্দুল্লাহর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


