ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ময়লার স্তুপ থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: ময়লার স্তুপ থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার হাউজিং এলাকার ভাগার থেকে কলেজ ছাত্রীর কম্বলে মোড়ানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের ২০ দিন পর কলেজছাত্রী রেখা (১৮)কে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে খবর পেয়ে রেখার মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতালের মর্গে প্রেরণ করে পুালিশ। পুলিশের ধারণা পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে খুনিরা।

নিহত রেখা কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাখই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম ব্যাপারীর মেয়ে ও কুমারখালী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পারিবারিক সিদ্ধান্তে গত ১৮ নভেম্বর পূর্বপরিচিত হাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়। হাফিজুর রহামন একটি ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন গোপালগঞ্জ জেলায়।

নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ব্যাপারী জানান, রেখা বুধবার সকাল ৯টায় কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় পরিবারে লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। সম্ভাব্য সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে কুষ্টিয়া হাউজিং ই-ব্লকের ভাগারে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রেখার লাশ পাওয়া গেছে। গত ২০দিন পূর্বে রেখার পূর্বপরিচিত ও পছন্দের হাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়। এখন কিসের থেকে কি হয়েছে তা আল্লাহ জানে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

নিহত রেখার স্বামী হাফিজুর রহমান জানান, প্রায় এক বছর পূর্বে ফোন কলের মাধ্যমে রেখার সঙ্গে আমার পরিচয়। রেখার সাথে ইমু ফোন কলের মাধ্যমেই যোগাযোগ হতো। চাকরি সূত্রে দূরে থাকায় সরাসরি দেখা সাক্ষাতের কোন সুযোগ ছিলো না। রেখার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় আমি অপেক্ষা করছিলাম।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেখা আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। রেখার কথা মতো জন্ম নিবন্ধন সূত্রে প্রায় আড়াই মাস বয়স কমতি থাকলেও কুষ্টিয়াতে নোটারী পাবলিক থেকে পরিবারিক হলফনামা করে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আগামী সপ্তাহে রেখাকে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তার আগেই তো এই ঘটনা ঘটে গেলো।

বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতালের মর্গে লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সোহেল রানা জানান, বুধবার রাতে হাউজিং এলাকায় কম্বল মোড়ানো এক নারীর মরদেহ পড়ে আছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। তবে যারাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।