দেশের সাইবার নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলেছেন বরিশালের তরুণ উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম রানা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশের সাইবার নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলেছেন বরিশালের তরুণ উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম রানা

দেশের সাইবার জগতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন বরিশালের তরুণ উদ্যোক্তা মো. আরিফুল ইসলাম রানা। সরকারি বরিশাল কলেজের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হলেও তিনি ইতোমধ্যেই একজন সফল আইটি এক্সপার্ট হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন।

রানা ও তার টিম দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ফেসবুক আইডি ও পেজ রিকভার, ফেইক অ্যাকাউন্ট অপসারণ, হ্যাকড আইডি উদ্ধারসহ ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সাইবার সিকিউরিটি জোরদারে আইটি সাপোর্ট প্রদান করছেন তারা।

 

 

সাইবার নিরাপত্তা আইনে জনগণের জন্য সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা

১. অনলাইন তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ:
নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবিষয়ক তথ্য যেন হ্যাক বা অপব্যবহার না হয় — তার সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

২. সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি:
হ্যাকিং, ভুয়া আইডি, প্রতারণা, মানহানি, ডেটা চুরি, পর্নোগ্রাফি, ব্ল্যাকমেইল ইত্যাদির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ও অপরাধীদের শাস্তির বিধান রাখা।

৩. ডিজিটাল লেনদেনের নিরাপত্তা:
অনলাইন ব্যাংকিং, বিকাশ-নগদ লেনদেন, ই-কমার্স ট্রান্স্যাকশন ইত্যাদিতে প্রতারণা রোধে সাইবার মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা।

৪. জনসচেতনতা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি:
স্কুল, কলেজ, ও বিশ্ববিদ্যালয়ে “সাইবার নিরাপত্তা শিক্ষা” চালু করা যায় যাতে তরুণরা অনলাইনে নিরাপদে চলাফেরা শিখে।

৫. সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (CERT):
নাগরিকদের ফেসবুক আইডি হ্যাক বা অনলাইন প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত সাহায্য ও উদ্ধার সেবা দেওয়ার জন্য হেল্পলাইন বা অনলাইন রিপোর্টিং ব্যবস্থা রাখা।

৬. ডেটা প্রটেকশন নীতিমালা:
নাগরিকের অনুমতি ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার বা বিক্রি করতে পারবে না — এমন আইনি সুরক্ষা।

৭. ডিজিটাল ফরেনসিক সাপোর্ট:
অপরাধ ঘটলে তদন্তের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে প্রমাণ সংগ্রহের ব্যবস্থা রাখা, যাতে নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার না হয়।

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আরিফুল ইসলাম রানা বলেন, “আমরা দেশের সব স্কুল-কলেজে ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার করতে চাই। সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে পারব।”