
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সংবাদ সম্মেলনে চাঁদা দাবি ও হুমকির অভিযোগ প্রকাশের পর ফের নতুন করে হামলা, অপপ্রচার ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের বাসিন্দা শিমু বেগম।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১ টায় বরিশাল রিপোর্টস ইউনিটির হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী শিমু বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে তিনি বলেন, গত ২ নভেম্বর বেলা ১১ টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও দাড়িয়াল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিজান মিয়ার নেতৃত্বে (শিমুর সাবেক স্বামী) ও বজলু হাওলাদারসহ তাদের সহযোগীরা একদল লোক নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল নিয়ে বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে।
তিনি জানান, “ওইদিন তারা আমার বাড়ির সামনে এসে টেনে-হিঁচড়ে মারধরের চেষ্টা করে এবং জানালা-দরজা ভাঙচুর করে। আমরা ভয় পেয়ে ঘরের ভিতর লুকিয়ে পড়ি।”
শিমুর অভিযোগ, ওই সময় বজলু হাওলাদারসহ মিছিলকারীরা তার বিরুদ্ধে নোংরা, মিথ্যা ও কেলেঙ্কারিমূলক অপবাদ ছড়ায়। পরকীয়া, একাধিক বিবাহ ও দেহ ব্যবসার মতো জঘন্য অভিযোগ তুলে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়। এমনকি তার ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে এলাকাবাসী তাকে ঘৃণা করে ও কেউ পাশে না দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, “আমার নামে ‘ড্রাগ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত’ বলে প্রচার চালানো হচ্ছে এবং সামাজিক মাধ্যমে ‘এই মহিলাকে ধরিয়ে দিন’ এমন উস্কানিমূলক আহ্বানও দেওয়া হচ্ছে। এতে আমি ও আমার দুই মেয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
শিমু বেগম দাবি করেন, সাংবাদিক সম্মেলনে সত্য কথা বলার কারণে তার ওপর এই প্রতিশোধমূলক হামলা ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান মিজান মিয়া ও বজলু হাওলাদারসহ সংশ্লিষ্টদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনগত ব্যবস্থাসহ তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিকৃত ছবি ও অপপ্রচার ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের সাইবার অপরাধ আইনে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আমি ভয় পাই না, আমি চাই সত্য প্রকাশ পাক। সাংবাদিক সমাজ যেন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতির বিবেক জাগিয়ে তুলেন।”
এবিষযে অভিযুক্ত বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মিজান মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অপরদিকে, বিএনপি নেতা বজলু হাওলাদার গণমাধ্যমে বলেন, “আমরা বাড়ির ভেতরে কেউ প্রবেশ করিনি। বাড়ির সামনের সড়কে শুধু মিছিল করেছি। ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”


