ঢাকাশনিবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে প্রস্তুত হচ্ছে বরিশাল

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩ ৭:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে প্রস্তুত হচ্ছে বরিশাল

আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও জনসভাকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বরিশাল মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার চালাচ্ছেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল ক্লাবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বরিশাল-২ আসনের নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেনন, ঝালকাঠি ১ আসনের নৌকার প্রার্থী ব্যরিস্টার শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম) ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম।

এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত, পিরোজপুর-১ নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম, পটুয়াখালী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী আসম ফিরোজ এমপি, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম), ভোলা-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ প্রমুখ।প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিবাবক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। সভাস্থলকে জনসমুদ্রে পরিনত করার লক্ষে ইতোমধ্যে নগরের বান্দরোডস্থ বঙ্গবন্ধু উদ্যানকে সাজানো গোছানোর কাজ চলছে। চলছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মাইকিং।

নগরের প্রতিটি পয়েন্টকে সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে রাস্তা মেরামত, লাগানো হয়েছে রাস্তার মধ্যখানে বিভিন্ন ধরনের লাইট। জোরদার করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা।

নগরী ছেয়ে গেছে নেতাকর্মীদের তোরণ, ফেস্টুন আর ব্যানারে। যে দিকে তাকানো যাবে, সেদিকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরিশালে স্বাগত জানিয়ে টানানো বিশাল বিশাল এসব তোরণ, ব্যানার আর ফেস্টুন চোখে পড়বে সবার। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসভাস্থল পরিষ্কার ও রং তুলির রংয়ে সাজানো হচ্ছে।

নির্বাচনের মুহূর্তে এটি বরিশালে বিভাগের একমাত্র জনসভা, যেখানে দলের প্রধান শেখ হাসিনা সরাসরি উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেবেন। নেতা-কর্মীদের দেবেন নানা নির্দেশনা, ভোট চাইবেন বরিশালবাসীর কাছে। এ জন্য এই জনসভায় ১০ লাখ লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে রয়েছে। নগরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিশের টহল। সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। জনসভা মঞ্চ ও আশপাশ এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা।

উল্লেখ্য, গত (৮ ফেব্রুয়ারী) ২০১৮ সালে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন। সে সময় শেখ হাসিনা সেনানিবাস উদ্বোধন ও আসন্ন সিটি ও জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রীক কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী বরিশালে আসছেন জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে। এ উপলক্ষ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গত ১ সপ্তাহ ধরে আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড কেন্দ্রীক সভা করেছি। জনসভা যদিও বরিশাল মহানগরে হচ্ছে তবে এ জনসভায় বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের প্রতিটি জেলা-উপজেলা নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ থাকবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে আমাদের অভিভাবক বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বেশকিছু সভা হয়েছে।

তিনি বলেন, মহানগরে জনসভাটি হওয়ায় আমাদের আশা আশঙ্কা যেমন অনেক বেশি, তেমনি দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরা বরিশাল মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ড লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে।

বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ১০ লাখ মানুষের সমাগমের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভার মধ্য দিয়ে দলের নেতা-কর্মীসহ ভোটারদের মাঝে ব্যাপকভাবে উৎসাহ বাড়বে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বিপিএম-সেবা, পিপিএম বলেন- প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে রয়েছে। নগরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিশের টহল। সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। জনসভা মঞ্চ ও আশপাশ এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা।