ঢাকামঙ্গলবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে ফেসবুকে ‘হা হা’ দেয়ায় মেরে নাক ফাটালো শিক্ষার্থীর

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩ ৫:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে ফেসবুকে ‘হা হা’ দেয়ায় মেরে নাক ফাটালো শিক্ষার্থীর

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন শান্তর ফেসবুক পোস্টে ‘হা হা’ রিয়্যাক্ট দেয়ায় একই বিভাগে পড়ুয়া তার এক সহপাঠীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভোলা রোডের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর সহপাঠীরা আহত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবিচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আহত শিক্ষার্থী হলেন ২৩ বছর বয়সী মো. জাকির হোসেন।

জাকির বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে আহত করা একই বিভাগের আরিফ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখা কমিটির সদস্য৷

আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী মুহম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমি ও জাকির ভোলা রোডে বাজার করতে আসি। তখন জাকির আমার থেকে একটু দূরে ছিল। হটাৎ দেখি শান্ত এসে জাকিরকে চোখ বরাবর মারধর শুরু করেছে। প্রথমে এসেই বাম চোখে ঘুষি মেরেছে। পরে অন্যান্য স্থানে লাথি ঘুষি মারছে।

আমরা যেয়ে মারামারি থামানোর চেষ্টা করেছি। আহত অবস্থায় জাকিরকে প্রথমে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে তাকে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আরিফ হোসেন শান্তর একটা ফটোতে জাস্ট একটা হা হা রিয়্যাক্ট করছি ৷ ওই রিয়্যাক্ট নিয়ে মেসেনজারে আরিফ আমাকে গালাগালি করে। পরে জিজ্ঞাসা করে আমি কোথায় আছি, বলি বরিশালে, ভোলা রোড। এটা শুনে সে এসেই আমাকে চোখ বরাবর ঘুষি মারে। ঘুষি মারার পরপরই আমি মাটিতে পড়ে যাই। বুকে কিল ঘুষি মারছে। এখনো নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে অনবরত। রাত্রে আমি ঘুমাতেও পারিনি।

অভিযুক্ত আরিফ হোসেন শান্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে বিভিন্নভাবে সে (জাকির) উসকানি দিয়ে ভোলা মোড়ে ডেকে নিয়ে হিট করছে। আমার হাতে কামড় দিয়েছে, আত্মরক্ষার্থে আমি তাকে মারধর করেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা পম্পা রানী মজুমদার বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। আমি দুজনের সাথে কথা বলব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো.আব্দুল কাইউম বলেন, ‘রাতে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর অসুস্থার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা চায়। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেই। হা হা রিয়্যাক্টকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটেছিল কি না, জানি না। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।