
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল ৪ আসন : শাম্মী আউট, পংকজ দেবনাথ বহাল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে লড়াই করার আর সুযোগ থাকলো না ডা. শাম্মী আহমেদের। অনেক দৌড়ঝাঁপ করেও নিজের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাম্মি আহমেদ। নিজ আসনে বহাল থাকলেন পংকজ দেবনাথ।
সূত্রে জানা যায় যে, বরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন ইসিতে। শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের। নির্বাচন কমিশন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় এ অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মী আহমেদের অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর পর ১৫ ডিসেম্বর শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল হয়। আর একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল থাকে। পরে শাম্মী আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। ১৭ ডিসেম্বর রিট খারিজ হয়ে যায়। পরদিন তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। শুনানি শেষে চেম্বার আদালত নো অর্ডার (কোনো আদেশ নয়) ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ফের আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
পরবর্তীতে প্রার্থিতা ফিরে পেতে শাম্মী আহমেদের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এ ব্যাপারে পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, আইনের প্রক্রিয়ায় আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি, সত্যের জয় হয়েছে, যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে দলের সাথে, দলের ফোরামের সাথে, দেশের সাথে প্রতারণা করলেন জেনে শুনে। তিনি দ্বৈত নাগরিক হয়ে দলের মনোনয়ন চাইলেন, যেটা একটা অপরাধ, এবং দ্বৈত নাগরিক থাকা অবস্থায় মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন এটাও একটি অপরাধ, এর ফলে রাষ্টের অর্থ ব্যয় হয়েছে, দল বিব্রত হয়েছে, আমার নির্বাচনী এলাকার জনগন আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, আমরা অসম্মানিত হয়েছি। আমরা এ সমস্ত প্রতারকদের হাত থেকে রাজনীতিকে রক্ষা করবো।