
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: ট্রাক প্রতীক নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া সালাহউদ্দিন রিপন তার আসনের (বরিশাল-৫) ৯০টি কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করেছেন। এ সব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টির ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদনও করেছেন তিনি।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে তিনি এ আবেদন করেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এ আবেদনের সঙ্গে দুটি অভিযোগও জমা দিয়েছেন তিনি। একটি- প্রার্থীর স্ত্রীর প্রচারণায় বাঁধা ও পিষে ফেলে হত্যার হুমকি; দ্বিতীয়টি তার তিন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রিপন বলেন, বরিশাল নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্র এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় গিয়ে বাঁধার মুখে পড়েছি। আমার কর্মীদের কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিয়েছে। এমনকি এজেন্ট রাখতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বরিশাল-৫ আসনের ৯০টি ভোট কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে। একই অনুলিপি পুলিশ কমিশনারের কাছেও দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে এ প্রার্থী বলেছেন, বরিশাল-৫ আসনে ১৭৬টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল নগরে ৫৮ ও সদর উপজেলার ৩২ কেন্দ্রে গিয়ে তিনি, তার স্ত্রীসহ ট্রাক প্রতীকের কর্মীরা হুমকি ও হামলার শিকার হয়েছে। ৯০টি কেন্দ্র এলাকায় ট্রাক প্রতীকের প্রচার মাইক ভাংচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। নৌকার কর্মীরা একাধিকবার ওয়ার্ড ভিত্তিক কার্যালয়ে গিয়ে হুমকি দিয়েছে।
এ সব বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি সাধারণ ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে ভয়ভীতিহীন পরিবেশে ভোট দিতে পারে সেজন্য অধিক সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।
বরিশাল-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপনের আবেদন পেয়েছেন নিশ্চিত করে বলেন, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেছেন, পুলিশ নিরপেক্ষ কাজ করছে। ভোটের দিনও নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে।