নিউজ ডেস্ক :: ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও পোস্ট দিতে স্বামী-শাশুড়ির নিষেধ, গৃহবধূর আত্মহত্যা।
ফেসবুকে নিজের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা নিয়ে স্বামী-শাশুড়ি অসন্তোষ প্রকাশ করায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ খুশি খাতুন। তার স্বামী-শাশুড়ি চাইতেন না পুত্রবধূর ছবি-ভিডিও অন্য কেউ দেখুক। এ নিয়ে স্বামী-শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য হয় খুশির। এরই জের ধরে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকলে নিজঘরে গলায় ফাঁস নেন খুশি। বিষয়টি টের পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঝুলন্ত অবস্থা থেকে খুশি খাতুনকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলতদিয়াড় স্কুলপাড়ায়। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষ খুশি খাতুনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিজ্ঞাপন
খুশি খাতুন দৌলতদিয়াড় গ্রামের স্কুলপাড়ার ওবাইদুল ইসলামের স্ত্রী এবং আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের সিদ্দিক আলীর মেয়ে।
স্বামী ওবাইদুল ইসলাম জানান, বছর খানেক আগে বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নিই। এরপরই আমার শাশুড়ি খুশিকে একটি স্মার্টফোন কিনে দেন। এই স্মার্টফোন দিয়ে গত ছয়মাস যাবত নিজের ফেসবুক আইডিতে নিজের তৈরি রিল ভিডিও এবং ছবি আপলোড দেয় খুশি। আমি নিষেধ করলেও শুনতো না। বিষয়টি আমার মাকে জানালে তিনিও খুশিকে নিষেধ করেন। এ নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, গত শনিবার আমার বড় ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে খুশি। আমার কাছে নগত কোনো টাকা না থাকায় তাকে ঘুরতে নিয়ে যেতে পারিনি। এরপর থেকে আমার সঙ্গে কথা বলতো না খুশি। বুধবার আমি কাজে ছিলাম। আমার এলাকার পরিচিত একজন আমাকে দুপুরের দিকে ডেকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরই জানতে পারি আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। আমার সাড়ে ৩ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেন্দার আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরেই খুশি খাতুন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।