![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিউজ ডেস্ক :: কালো পতাকা কর্মসূচি গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কেন কালো পতাকা মিছিল করবে? তাদের ব্যর্থতার জন্য তো আমরা দায়ী না, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা দায়ী নয়। এ ধরনের কর্মসূচি গণবিরোধী। কালো পতাকা কর্মসূচি গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করি।
এ ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তা না হলে এ ধরনের কর্মসূচির নামে সহিংসতা করা হলেও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিবে।মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরও প্রতিযোগিতামূলক বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারত, কিন্তু বিএনপির কারণে হয়নি। এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এর দায় বিএনপির। তাদের ব্যর্থতার জন্য গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অপবাদ দিয়ে কোনো লাভ নেই।ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল। ঢাকায় কিন্তু তাদের যে রাষ্ট্রদূত, নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। ইউরোপের অনেক দেশও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যে নির্বাচনে ৪১ শতাংশের মতো ভোটার উপস্থিত ছিল, সে নির্বাচনকে পৃথিবীর মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে কোনো অবস্থাতেই ভোটারবিহীন নির্বাচন অপবাদ দিতে পারবে না। তবে বিএনপির মতো দলগুলো যদি থাকতো, তাহলে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতো। আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। সে ত্রুটিটা আমাদের সৃষ্ট নয়। সেটা বিরোধী দল সৃষ্টি করেছে। এখানে সরকারি দলের উপর অপবাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি পৃথিবীময় অর্থনীতির ওপর চরম আঘাত এনেছে। আজকে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি জনগণের সমস্যা সমাধানে জনপ্রতিনিধিরা কাজ করবে।
টিআই’র সূচক নিয়ে সাংবাদিকদের এক- প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট আছে। বিশ্বজুড়ে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব সেখানে অবস্থানগতভাবে কোনো কোনো জোট বা দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের পাহারাদার এসব প্রতিষ্ঠান। ওখানে কারো স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এসব কমেন্ট করা হয়। এসব অপবাদ দেওয়া হয়। এটা অতীতেও দেওয়া হয়েছে। আমরা এগুলোর পরোয়া করি না। আমরা আমাদের কাজ জনস্বার্থে করে যাচ্ছি। দুর্নীতি, করাপশন ইজ ওয়ে অব লাইফ অ্যাক্রোস দ্য ওয়ার্ল্ড নাও। এটা বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, সারা বিশ্বেই আছে কমবেশি। কিন্তু যেভাবে অপবাদটা বাংলাদেশ নিয়ে দেওয়া হয়, এটা মোটেও সত্য নয়।মন্ত্রিসভার কলেবর বড় হচ্ছে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বাড়তে পারে একটু। কারণ এখানে রিজার্ভ সিটগুলো, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত যে আসন সে আসনে নির্বাচন শেষ হলে সেখান থেকেও যুক্ত হতে পারে। এর সঙ্গে প্রাইম মিনিস্টার যদি আরও ইচ্ছা করেন তিনি যুক্ত করতে পারেন
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/uploads/2023/11/BestFarma-213x300.jpeg)