নিজস্ব প্রতিবেদক :: কীর্তনখোলা নদীতে লঞ্চের পাখায় কাটা পড়ে নিখোঁজ জেলের পা উদ্ধার
কীর্তনখোলা নদীতে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে থামানো লঞ্চের পাখায় আটকেপড়া জাল ছাড়াতে গিয়ে কাটা পড়ে এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান।
নিখোঁজ জেলের একটি কাটা পা উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তল্লাশি করছেন। নিখোঁজ ওই জেলে হলো-আবেদ আলী (৩০) বরিশাল নগরের রসুলপুর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহরাব সর্দারের ছেলে। সে বেঁদে সম্প্রদায়ের জেলে। নিখোঁজ জেলে আবেদ তিনমাস বয়সী কন্যার জনক।
জেলে আবেদের স্ত্রী রুমা জানান, স্বামী, সে ও ভাগিনা ইয়াসিনকে নিয়ে কীর্তনখোলা নদীর নৌ-বন্দর এলাকায় জাল ফেলেন। স্রোতের টানে জাল গিয়ে নৌ-বন্দরে থাকা বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের ইঞ্জিনের পাখায় আটকে যায়। লঞ্চের পেছনে থাকা এক কর্মচারীকে বলে পাখা থেকে জাল ছাড়াতে যায় স্বামী আবেদ। জাল ছাড়ানোর সময় ইঞ্জিন চালু দেয়। তখন কর্মচারীদের বললেও তারা বলে তাদের করার কিছু নেই।
বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লঞ্চের পাখায় কাটা পড়ে জেলে আবেদ নিহত হয়েছেন। পাখায় কাটা পড়া একটি পা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে তল্লাশি করছে। ওসি জলিল বলেন, উদ্ধার করার পর পরিবারের সিদ্বান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পারাবাত লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সেলিম সাংবাদিকদের জানান, লঞ্চের নিচে একজন জেলে জাল ছাড়াতে গিয়েছে কেউ বিষয়টি জানায়নি। ঘাটে লঞ্চ সরানোর জন্য ইঞ্জিন চালু করে। দুর্ভাগ্যক্রমে এ ঘটনা ঘটেছে। চিৎকার শুনে বিষয়টি জানতে পেরে ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়েছে। বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর শুনে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। উদ্ধারের পর পরবর্তী সিদ্বান্ত নেওয়া হবে।