নিউজ ডেস্ক :: বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম
দেশের মোট উৎপাদনের ১৪ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় রাজবাড়ীতে। আর মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদনে বিখ্যাত এলাকা হিসেবে পরিচিত বালিয়াকান্দি উপজেলা। এ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে চলতি মওসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলনের সঙ্গে বাজারে বিক্রিমূল্য ভালো পেয়ে এ বছর বেশ খুশি কৃষকরা।
মৌসুমের প্রথম দিকে কেজিপ্রতি ৮০-৯০ টাকা পেলেও এখন গুণগত মাণ ভেদে ৪৫-৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তারা। বেশি দামের আশায় ইতোমধ্যে অপরিপক্ব পেঁয়াজ উঠিয়ে কেউ কেউ বাজারে তুলছেন। এখন হালি পেঁয়াজ উঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, হালি পেঁয়াজ তোলায় ব্যস্ত কৃষকেরা।
এ উপজেলায় মুড়িকাটা ও হালি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ১৫ দিন আগেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে হালি পেঁয়াজ তুলছেন কৃষকেরা। বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে দেশি নতুন পেঁয়াজ। ফলে পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কমায় খুশি ক্রেতারা।
উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের অলংকাপুর গ্রামের কৃষক মো. লিটন মোল্লা জানান, এ বছর তিনি আড়াই পাকি জমিতে উচ্চ ফলনশীল লাল তীর কিং জাতের পেঁয়াজের চাষ করছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগ পেঁয়াজ চাষে তাকে নানা পরমর্শ দিয়ে সহযোগিতা করায় ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ৮০ মনের অধিক পেঁয়াজ পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
একই উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, ৪৪ শতক জমিতে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তিনি প্রায় ৬৫ মণ পেঁয়াজ পাওয়ার আশা করছেন। পাশাপাশি ভালো দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা তার।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর তাদের পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১৫৮ হেক্টর। আশা করি পেঁয়াজ চাষে কৃষকেরা লাভবান হবেন।