নিউজ ডেস্ক :: ঈদের কাপড় পাল্টাতে আসায় ক্রেতাকে পিটিয়ে জখম
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার একটি বাজারে ঈদের জন্য কেনা কাপড় পাল্টাতে আসা ক্রেতা হামলার শিকার হয়েছেন। দোকানে কর্মরতদের হামলায় নারীসহ দুইজন রক্তাক্ত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কমলগঞ্জের শমশেরনগর বাজারের বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর থেকে কিনে নেওয়া কাপড় পরিবর্তন করানোর জন্য ইফতারের পূর্বে দোকানে আসেন খাতুনা বেগম (৬৫) নামে ওই নারী। এসময় ওই স্টোরের মালিক আব্দুল মান্নানের ছেলে নোমান মিয়া বিক্রিত কাপড় পরিবর্তন করা যাবে না বলে খাতুনাকে সরিয়ে দেন। এ নিয়ে দোকানে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ঘটে।
তখন ওই নারী মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার মেয়েকে বলেন, ‘তুই কাপড় কিনেছিস, এটি ছোট হয়ে গেছে। এখন দোকানে এসে কাপড় পরিবর্তন করে নিয়ে যা’। এরপর তিনি আবারও কাপড় পরিবর্তন করতে অনুরোধ করলে দোকানিরা ধাক্কা দিতে চায় তাকে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দোকানিরা ঝাড়ু ও কাঠের রোল দিয়ে আঘাত করে খাতুনা বেগম ও তার সঙ্গে থাকা নূরুল ইসলামকে। এতে দুজনই রক্তাক্ত হন।
এ অবস্থা দেখে ক্রেতারা প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরে পুলিশ ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এসময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাত সাড়ে ৮টায় দোকানের মালিক আব্দুল মান্নানকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে পেয়ে উত্তেজিত জনতা হাতাহাতি শুরু করে। খবর পেয়ে আহত নারীর আত্মীয়-স্বজনও সেখানে জড়ো হন। পরে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা পাল্টা হামলার চেষ্টা করে তাদের ওপর। ওই সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শমশেরনগর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরে এটি নতুন ঘটনা নয়। এরা আরও ক্রেতার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।
আহত খাতুনা বেগমের ছেলে খসরু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমার আম্মা কাপড় পরিবর্তন করার জন্য নিয়ে আসেন। তাদের বিক্রি করা কাপড় ছোট হয়ে যাওয়ায় সেটি পরিবর্তন করতে চান। তারা কাপড় পরিবর্তন না করেই ঝাড়ু ও কাঠের রোল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শমশেরনগর বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অভিযুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলেছি। সুষ্ঠু সমাধান হওয়ার পর দোকান খোলা হবে। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামীম আকনজি বলেন, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর বন্ধ রয়েছে এবং অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।