নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে অলংকার ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় নারীর পেটে ছুরি, যুবক গ্রেপ্তার
বরিশালে অলংকার ছিনিয়ে নিতে বাধা দেওয়ায় নারীর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনায় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তানজিল হোসেন ওরফে মোহাম্মদ আলী (২১) বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ সদরের আম্বিকাপুর এলাকার বাসিন্দা বাদল পালোয়ানের ছেলে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হামলায় আহত আম্বিকাপুর এলাকার বাসিন্দা খালেক নায়েবের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৫৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার স্বজনরা জানান, গত ৩০ মার্চ রাত ৯টার দিকে ঘটনার সময় বাড়ির সবাই তারাবির নামাজে ছিল। ওই সময় গ্রেপ্তার যুবক চুরি করতে হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে খালেক নায়েবের ঘরে ঢোকে। একই সময়ে খালেক নায়েবের স্ত্রী কুলসুম বেগম অযু করার জন্য বাথরুমে যাচ্ছিলেন। তখন গ্রেপ্তার যুবক কুলসুম বেগমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল জোরপূর্ক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিতে চাইলে কুলসুম বেগমের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় তানজিল। কুলসুম বেগমের চিৎকারে তার মেয়ে লিপি বেগম এগিয়ে এলে ওই যুবক পালিয়ে যায়।
কুলসুমের ছেলে কবির নায়েব জানান, ঘটনার পর মুমুর্ষ অবস্থায় তারা কুলসুম বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা পেটে থাকা ছুরি বের করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান এবং রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নিয়ে কুলসুম বেগমের পেটের ছুরি বের করা হয়। তবে তিনি এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে হামলার ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায়। তারা প্রতক্ষ্যদর্শীদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অভিযান চালিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার তানজিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই রিয়াজ।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের প্রথমদিকে সুচতুর তানজিল বিভিন্ন নাটকীয় মিথ্যা গল্প বানানোর চেষ্টা করলেও এক পর্যায়ে সে পুরো ঘটনা স্বীকার করে।
কুলসুমের মেয়ে লিপি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার যুবকই তার মায়ের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।