নিউজ ডেস্ক :: একসঙ্গে বিষপান, প্রেমিকের মৃত্যুর পর মারা গেলেন প্রেমিকাও
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার খাঁড়িতা গ্রামে একসঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিক-প্রেমিকা। এ ঘটনায় প্রেমিক মারা যাওয়ার পর মারা গেলেন প্রেমিকাও। সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়ার একটি হাসপাতালে মারা যান প্রেমিকা। এর আগে, রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রেমিক মুরাদ মারা যায়। গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে বিষপান করেন তারা।
মৃতরা হলেন- প্রেমিক মুরাদ শেখ ও প্রেমিকা তাজমিন আক্তার। মুরাদ খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে এবং তাজমিন একই গ্রামের তোজামের মেয়ে। মুরাদ এবার বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। আর তাজমিন বাঁকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুরাদের সঙ্গে একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের পরিবার বিষয়টি জানার পর সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরে মুরাদের পরিবার তাকে মালেশিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদের পর দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর দুজনই সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে বিষপান করেন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা বাড়ি ফিরে আসে।
গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে মারা যান মুরাদ। প্রেমিক মারা যাওয়ার খবরে প্রেমিকা তাজমিনও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকেও বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে মারা যান প্রেমিকাও।
ক্ষেতলাল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপান করেছে। প্রেমিক মুরাদ মারা গেছে। এ খবরে মেয়েটিও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে নিলে সেও মারা যায়। মুরাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে তার দাফন হয়েছে। আর প্রেমিকা তাজমিনের মরদেহ বগুড়াতেই রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।