![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিজস্ব প্রতিবেদক :: তাপপ্রবাহে কুয়াকাটা
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে নাজেহাল জনজীবন, ঘর থেকে বের হতে পারছেননা সাধারণ মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকরাও বাতিল করছেন অগ্রিম বুকিং দেওয়া হোটেল-রিসোর্টের কক্ষ। আবার কেউ কেউ কুয়াকাটায় দুই-তিন থাকার জন্য এসেও গরমের দাপটে ফিরে যাচ্ছেন একদিন থেকে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও এক সপ্তাহ অপরিবর্তিত থাকতে পারে চলমান তাপপ্রবাহ।
রোববার হোটেলের ম্যানেজারদের কথা বলে জানা যায়, এবার ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় কুয়াকাটাতে পর্যটকদের সংখ্যা ছিল বেশ। তবে কয়েকদিন ধরে পর্যটকের আগমন কমতে শুরু করেছে। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে আগত পর্যটকরা দ্রুত চলে যাচ্ছেন এবং অগ্রিম বুকিং বাতিল করছেন তারা।কুয়াকাটা এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, প্রতিটি ঈদের পরে প্রথম সপ্তাহে কক্ষ পুরোপুরি বুকিং থাকে। দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫০-৭০ শতাংশ বুকিং থাকে, এভাবে কমপক্ষে ১৫ দিন পর্যটক থাকেন। তবে এই ঈদের পরে ৩-৪ দিন ভালো পর্যটক পেলেও হঠাৎ করে তাদের আগমন ২০-৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। তাপপ্রবাহের কারণে পর্যটক কমছে।
বরিশাল থেকে বেড়াতে আসা মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমি তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। ২-৩ দিন থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু একদিন থাকার পরে মনে হচ্ছে আগামীকাল (সোমবার) আর থাকা হবেনা। কারণ তীব্র গরম। সবাইতো আর এসি রুম নিয়ে থাকতে পারে না। আর বেড়াতে এসে সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করব, সেটাও পারিছ না তীব্র গরমের কারণে।’হোটেল সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের পরিচালক নজরুল ইসলাম সজিব বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদের পরে প্রথম কয়েক দিন হোটেলের প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ কক্ষ বুকিং থাকে। কিন্তু এ বছর মাত্র ১০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। ২ দিন আগেও বুকিং দেওয়া ৪টি রুম বাতিল করেছেন পর্যটকরা। তারা বলছে, অতিরিক্ত গরম শিশু ও পরিবারের সদস্যদের জন্য নিরাপদ মনে না হওয়ায় বুকিং বাতিল করা হয়েছে।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত তাপমাত্রা সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। কুয়াকাটায় প্রায় ২০০ আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট রয়েছে, তার মধ্যে ৪০-৫০ শতাংশ হোটেলে কক্ষে এসি থাকে। পর্যটকরা তো আবার এসিতেও থাকেন না। সব মিলিয়ে পর্যটক কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. জিল্লুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা এর আশেপাশে অবস্থান করছে। আগামী আরও এক সপ্তাহ এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে।
![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/uploads/2023/11/BestFarma-213x300.jpeg)