
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট থেকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার হাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল কার্যক্রমের সম্ভাব্যতা যাচাইকল্পে পদক্ষেপ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ থেকে সংশ্লিষ্ট (ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল) উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্যে রুটটি সরেজমিন পরিদর্শন করার নির্দেশনা প্রদান করেছে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কার্যালয়ের একজন উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা গত ৮ মে এ নির্দেশনা পত্র প্রদান করেন। চিঠিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে চরফ্যাশনের দুলারহাট থানাধীন ঘোষেরহাট এবং দশমিনা উপজেলার হাজিরহাট রুটটি পরিদর্শনপূর্বক ত্রিবিভাগীয় কমিটিকে মতামত প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে এরআগে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন সপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তার আবেদন আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে সরেজমিন পরিদর্শনের চিঠি প্রেরণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া তার আবেদনে বলেন, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন ঘোষেরহাট এলাকাটি ভোলা সদর কিংবা বরিশাল সদর থেকে শতাধিক কিলোমিটারেরও বেশি দুরত্বে ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখানকার বাসিন্দাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য, আহোরিত ইলিশ মাছসহ অন্যান্য মৎস্য সম্পদ কিংবা সাধারণ মানুষ পরিবহন যথেষ্ট কষ্টসাধ্য, সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। জেলা সদর ভোলা কিংবা মূল ভূখন্ড বরিশালে আসা-যাওয়া করার ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভোলা কিংবা বরিশালে আসা যাওয়া করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ন। এসব কারনে এলাকাবাসী চরফ্যাশনের দুলারহাট থানাধীন ঘোষেরহাট থেকে দশমিনা উপজেলার হাজিরহাট রুটে ফেরি চালু করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
এবার তাদের জনদুর্ভোগ লাঘবে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত রুটে ফেরি চালু করার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এলাকাবাসী আশায় বুক বেঁধেছে। একই সঙ্গে সাধারন যাত্রীদের চলাচল ও মালামাল পরিবহনে অতিসত্বর ঘোষের হাট-হাজির হাট রুটটিতে ফেরি চালু করার জোর দাবি জানান সাধারন মানুষ।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জিন্নাগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মনজুর হোসেন বলেন, ঘোষেরহাট থেকে হাজিরহাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু করা দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের প্রাণের দাবি। এটি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
দশমিনা সরকারি আবদুর রশিদ ডিগ্রি কলেজের বাংলা প্রভাষক মো. আবু জাফর বলেন, এই ফেরি সার্ভিসটি চালু হলে ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার পরস্পর সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি সারাদেশের কৃষিপণ্য ও মৎস্য সম্পদ সরবরাহে নতুন মাত্রা সংযোজিত হবে। অবিলম্বে এই রুটে ফেরি চালু করা সময়ের দাবি।