
নিজস্ব প্রতিবেদক :: নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুস বাণিজ্য’র ভিডিও ভাইরাল।
ঝালকাঠির নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী আব্দুল লতিফ (অতিরিক্ত দায়িত্ব রেকর্ড কিপার) ব্যাপক ঘুস বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। অফিসে প্রকাশ্যে সেবা গ্?হীতাদের কাছ থেকে তার ঘুস নেওয়ার প্রমাণ গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ষাটোর্ধ সেবা গ্রহীতা পকেট থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট বের করে দেন। আব্দুল লতিফ সরাসরি হাতে না নিয়ে ড্রয়ার খুলে দিলে গ্রহীতা টাকাটি সেখানে রেখে দেন।
এভাবে ঘুস নেওয়ার অভিনব কৌশল চালু করেছেন তিনি। সরেজমিনে জানা যায়, ওই বৃদ্ধ ব্যক্তি পর্চা তুলতে গিয়ে ঘুস দিতে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালে নলছিটিতে যোগদানের পর থেকেই আব্দুল লতিফ অফিসে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। নানা অজুহাতে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি করে তিনি নিয়মিত ঘুস গ্রহণ করে আসছেন।
তার ঘুস গ্রহণ এখন যেন নিত্যদিনের ব্যাপার। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, “ সেটেলমেন্ট অফিসে কোনো কাজই ঘুস ছাড়া হয় না। আব্দুল লতিফ এমন এক ঘুসের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন, যেখানে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে।” হাসান মৃধা নামের এক ব্যক্তি জানান, আব্দুল লতিফ তার মামার কাছ থেকে একটি কাজের জন্য ৮ হাজার ৫০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মো. মজিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা কোনো অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” অন্যদিকে, উপজেলার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্?হণের দাবি জানিয়েছেন।