
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে প্রথমবারের মতো হাঁটু না কেটে আর্থোস্কোপিক মেশিনের সাহায্যে লিগামেন্ট ইনজুরির অপারেশান করা হয়েছে। শুক্রবার নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে এই অস্ত্রপচার করেন অর্থোপেডিকস্ এন্ড আর্থোপ্লাষ্টিক সার্জন ডা. রিয়াজ মৃধা। তিনি শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিষ্ট্রার এবং বরিশালের একজন খ্যাতনামা সার্জন।
বরিশালে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক রোগী হাঁটুর লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়াসহ এই সংক্রান্ত জটিলতায় ভোগে। হাঁটু না কেটে তাদের চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা এখানে ছিলনা। দক্ষ চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে এই অঞ্চলের লিগামেন্ট ইনজুরি’র রোগীদের বিনা অপারেশানে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হত। বরিশালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এই সংক্রান্ত সার্জারির কোন মেশিন বা যন্ত্রপাতি ছিলনা। নগরীর বান্দ রোডে থাকা একটি বেসরকারী হাসপাতালে হাটু না কেটে লিগামেন্ট ইনজুরির অপারেশান করার উদ্যোগ নেন ডা. রিয়াজ। ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা আর্থোস্কোপিক মেশিনে শুক্রবার একজন রোগীর লিগামেন্ট ইনজুরির চিকিৎসা হাঁটু না কেটেই সম্পন্ন করেন তিনি। অপারেশান সফল এবং রোগী অলি প্যাদা সুস্থ আছে বলে জানান ডা. রিয়াজ। ফুটবল খেলতে গিয়ে তার বাম পায়ের হাঁটুর লিগামেন্ট ছিড়ে যায়।
ডা. রিয়াজ বলেন, ‘বরিশালে আমিসহ দু’জন চিকিৎসক আর্থোস্কোপিক মেশিনে হাঁটু না কেটে লিগামেন্ট ইনজুরির অপারেশন করায় প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত। মেশিন না থাকায় রোগীদের এই সহজ চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি আর্থোস্কোপিক মেশিন থাকলেও তা দীর্ঘদিন ধরে অচল। পরিচালক মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে।
তিনি আশ্বাস দিয়েছেন নতুন মেশিন আনার উদ্যোগ নেবেন। এই ধরনের চিকিৎসা ঢাকায় করতে একজন রোগীর ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা খরচ হয়। বরিশালে মেশিন থাকলে তা ১ লাখ টাকার মধ্যে করা সম্ভব। আমি আশা করবো যে সরকার অতিদ্রুত এরকম একটি প্রয়োজনীয় মেশিন শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালকে দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার মান আরো এক দফা বৃদ্ধি করবেন। তাছাড়া মেশিনটি দেয়া হলে দরিদ্র রোগীদেরও অনেক উপকার হবে।’


