ঢাকাশুক্রবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা : ঢাকা থেকে মরদেহ এনে পালিয়ে গেল স্বামী

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা : ঢাকা থেকে মরদেহ এনে পালিয়ে গেল স্বামী।

 

বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির রাজাপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে মরদেহ বাড়িতে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী আরিফ খলিফা। নিহত রেহেনা বেগম এক শিশু সন্তানের জননী।ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন আরিফ ও রেহেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সেখানেই মৃত্যু হয় রেহানার। আরিফ রাজাপুর উপজেলার চটিখোলা এলাকার মান্নান খলিফার ছেলে।

জানা গেছে- রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাংগর গ্রামের শহিদ হাওলাদারের মেয়ে রেহেনা বেগমকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করতেন তার স্বামী আরিফ এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। কয়েকদিন আগে রেহেনার মা ঢাকায় গিয়ে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসতে চাইলেও সংসার ভাঙবে এই আশঙ্কায় বাড়ি যেতে অস্বীকৃতি জানায় রেহেনা। আজ সকালে হঠাৎ একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে মরদেহ বাবার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় আরিফ।

পরিবারের দাবি গোসলের সময় রেহেনার গলা, হাত ও পিঠে নির্যাতনের স্পষ্ট দাগ দেখা যায়। রেহেনার মামা শাহিন আকন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ফোনে জানানো হয় রেহেনা অসুস্থ। তিনি বাসায় গিয়ে রেহেনাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। হাসপাতালে নিতে বলা হলেও কিছুক্ষণ পরই আবার তাকে বাসায় ডাকেন আরিফ। বাসায় গিয়ে তিনি বিষয়টি রহস্যজনক মনে করেন এবং রেহেনার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। শুক্রবার সকালে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর স্বজনরা আঘাতের চিহ্ন দেখে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে আরিফসহ তার আত্মীয়রা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

রেহেনার বাবা শহিদ হাওলাদার ও ভাই সাব্বির জানান, পারিবারিক কলহের জেরে রেহেনাকে নির্যাতন করে হত্যার পর অসুস্থতার নাটক সাজানো হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। রাজাপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানানা- ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে রেহেনার মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভের ছায়া। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।