ঢাকাশনিবার , ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪ ৫:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী উপজেলা নির্বাচন আমি উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কে কতটুকু কাজ করেছেন, তা যাচাই করা যাবে। তবে নির্বাচনকে ঘিরে কোনো সংঘাত চাই না। যারা এর সাথে জড়িত থাকবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি যত বড়ই হোক না কেন।তিনি বলেন, দলের তৃণমূলের যেখানে সম্মেলন হয়নি। সেখানে সম্মেলনগুলো শেষ করতে হবে। দলের তৃণমূল নেতাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেউ কাউকে দোষারোপ করা যাবে। কেউ কাউকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল।

নির্বাচনে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। আর উন্মুক্ত করা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতো। বাংলাদেশে গণতন্ত্র হরণ করা হতো। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মন কষাকষি থাকতে পারবে না। নিজেদের মধ্যে যে মন কষাকষি আছে, এই গণভবনে বসেই মিটিয়ে ফেলুন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপি আসেনি। কিন্তু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। কারণ আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছিলাম। এবারের নির্বাচন স্বতন্ত্র ও দলীয় ছিল। এতে মন কষাকষি হয়েছে। গত নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছেন, নির্বাচনে জিততে না পারলেও ভোট পেয়েছেন। তাই কথায়, চলনে বলনে ঠিক থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কিন্তু যারা বলছেন, কিভাবে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি, সেটা বলতে হবে। তবে কিছু দেশি-বিদেশিরা বলছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছেন বলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তারা নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে বলছে, স্যাংশন দিতে হবে। আমিও বলে দিয়েছি, আমরাও প্রয়োজনে স্যাংশন দেবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের চক্রান্ত ছিল। জালাও পোড়াও অগ্নি সন্ত্রাস করেছিল। বিএনপি অনির্বাচিত সরকার চায়। তারা জানে নির্বাচন আসলে আওয়ামী লীগ জিতবে। তাই তারা নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। আমরা নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করে দিয়েছি। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। আমাদের ৮১ টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, একটা দেশের সরকার ধারাবাহিকতা না থাকলে দেশ উন্নতি হয়নি। সবাই একসাথে কাজ করেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কিসের অভাব। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সব কিছু আছে। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণ করবো।দেশের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করবো। অনেক সমালোচনা করবে। আমাদের দেশের টেলিভিশনে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছে। টক ঝাল কথা বলছে। বলুক। যে ওয়াদা জনগণের কাছে দিয়ে এসেছি। সে কথা রাখতে হবে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো চাঁদাবাজি বা মজুমদারির কারনে যেন পন্যের দাম না বাড়ে। এ জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি রাখতে হবে। এখন থেকে যে যত বেশি বিদ্যুৎ ব্যায় করবে, তাকে অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য প্রত্যেক মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা।

কে মুসলমান না কে মুসলমান এটি বলার অধিকার আমাকে দেওয়া হয়নি। অহেতুক এক একেকজন একেক রকম কথা বলেন। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। কেউ খাবো কেউ খাবো তা তো হবে না। সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।

বঙ্গবন্ধু আর পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ উন্নত দেশ অনেক আগেই হয়ে যেত। ৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু পাঁচ বছরের বেশি টিকেনি। ভোট চুরির দায়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। বাংলাদেশকে আমারা জাতির পিতার আদর্শে গড়ে তুলবো।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন।সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছেন। তাকে হত্যার পর ২১ বছর ক্ষমতা জনগণের হাতে ছিল না। ক্ষমতা বন্দি ছিল জেলখানায়। কৃষকরা খাদ্য উৎপাদন করতে পারেনি। দেশে হাহাকার ছিল। রাজত্ব চলছিল খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের।

কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের সংগ্ৰামের মধ্যে দিয়ে এদেশের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।প্রত্যেকটা মানুষের জীবন মান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন হবে তরুণরা। গ্ৰামের মহিলারা যাতে ঋণ পায় তার ব্যবস্থা নিয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের ভাগ্যো উন্নয়ন হয়।