ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ নভেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে সরকারি অফিসে হু’ম’কি-ধা’ম’কি দিলেন ঠিকাদর মাহফুজুর রহমান মিলন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
নভেম্বর ২০, ২০২৫ ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে সরকারি অফিসে ঢুকে গত কয়েক বছরের উন্নয়ন কাজের কাগজপত্র দাবি এবং অফিস স্টাফদের হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এম.এম. কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার মাহফুজুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে। বরিশাল সামাজিক বন বিভাগের প্রধান সহকারী লুৎফর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক কথিত যুবলীগ নেতা এবং বর্তমানে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তারে চেষ্টা করা ঠিকাদার মিলন নতুনবাজারস্থ সামাজিক বন বিভাগের কার্যালয়ে গিয়ে প্রধান সহকারী লুৎফর রহমান ও হিসাবরক্ষক সিরাজুল ইসলামের কাছে গত কয়েক বছরের সকল উন্নয়ন কাজের কাগজপত্র দাবি করেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কাগজ দেওয়া সম্ভব নয় জানালে ঠিকাদার মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে কৌশলে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রধান সহকারী লুৎফর রহমান জানান “তিনি বহু বছরের কাগজপত্র একসাথে চান। তাকে বলেছি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী সব দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেননি; বরং চাপ সৃষ্টি করেছেন।”

সদর রেঞ্জ অফিসার আরিফ হোসেন এবং হিসাবরক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান নিয়ম মেনে কাগজ চাইতে বললে মিলন তার দলবল নিয়ে ভয়ভীতি দেখান। ডিএফও বদলি হলেও মিলনের প্রভাব কমেনি। ২০২৪ সালের ১১ মার্চ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে বরিশাল সামাজিক বন বিভাগের সাবেক ডিএফও ড. মো. আব্দুল আউয়ালকে ওএসডি করা হলেও তার ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার মিলনের দাপট এখনো কমেনি। আবারও অন্য ডিএফওকে কেন্দ্র করে একই ধরনের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ রয়েছে, সাবেক ডিএফও কবির হোসেন পাটোয়ারী ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণে রাজি না হওয়ায় মিলন তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার চালান। চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে মিলনের ভাড়াটে কিছু মানুষকে দিয়ে মানববন্ধনও করানো হয়। আউটসোর্সিংয়ে অনিয়মের অভিযোগ।

অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে- কয়েক বছর আগে মিলন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তার ঘনিষ্ঠ ৬ জনকে নিয়োগ দেন। বর্তমান সরকার আউটসোর্সিং নীতিমালা পরিবর্তন করলে তাদের নিয়োগ বাতিল হয়ে যায়। এরপর শূন্য পদে নতুন নিয়োগের জন্য ডিএফও টেন্ডার আহ্বান করলে মিলন টেন্ডারে অংশ না নিয়ে পূর্ববর্তী ৬ জনকে পুনরায় নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। ডিএফও তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিতর্কিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন ঠিকাদার মিলন। বিএনপির নাম ভাঙানোয় রাজনৈতিক ক্ষোভ। ঠিকাদার মিলন তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নাম ব্যবহার করায় সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

তাদের মন্তব্য “ব্যক্তিগত স্বার্থে বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি দপ্তরে ভয়ভীতি দেখানো বিএনপির জন্যই চরম বদনাম ডেকে আনছে। কোনো রাজনৈতিক দল কখনোই এমন আচরণ সমর্থন করে না। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”

এবিষয়ে ঠিকাদার মাহফুজুর রহমান মিলনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।