ঢাকাসোমবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালের ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করে প্রশংসায় ভাসছে মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করে প্রশংসায় ভাসছে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ।

নগরীর ব্যস্ততম সড়ক জেলখানার মোড় থেকে নাজিরপোল, চকবাজার, সদর রোড, নতুন বাজারসহ আশপাশের এলাকার অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে কাঁচা বাজার, আলফা ও অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ড করায় পথচারীদের চলাচলে সিমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হতো। পথচারীদের সুবিধার্থে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় জেলখানার মোড় থেকে নাজিরপোল, চকবাজার, সদর রোড, নতুন বাজারসহ আশপাশের এলাকার অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করে ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন পথচারীরা।

জেলখানার মোড় এলাকা থেকে চলাচলকারী সুমন নামে এক পথচারী বলেন, নগরীর ব্যস্ততম সড়ক জেলখানার মোড় থেকে নাজিরপোলের দিকে যেতে রাস্তার উপর প্রভাবশালীরা কাঁচা বাজার, আলফা ও অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ড করায় দীর্ঘদিন ধরে শহরে প্রবেশ করতে গেলে চলাচলে ভোগান্তি ও বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘটনার শিকার হতে হতো। এছাড়াও স্কুল, কলেজ,পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা পারাপারে সমস্যা হতো। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করায় সাধারণ যাত্রী ও জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের ভালো একটি উদ্যোগ।

নাইম নামের আরেক পখচারী বলেন- নাজিরপোল থেকে জেলখানার মোড় পর্যন্ত এমনভাবে দখল করা হয়েছিল, এটা যেন একটা বাজার বা ষ্ট্যান্ড। এখানে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকতো। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে করে ট্রাফিক পুলিশ ভালো কাজ করেছে। এখন নির্বিঘ্নে চলাচল করা যায়।

এরআগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবিরের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশ।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা বলেন, ইতিপূর্বে আপনারা দেখেছেন বরিশাল নগরীর সদর রোড এলাকায় ভ্রাম্যমান হকার, ফলের দোকান এবং অবৈধ পার্কিংয়ের কারনে যানজট লেগেই থাকতো। নগরবাসীকে এ সব ভোগান্তি থেকে মুক্ত করতে গত ২২ জানুয়ারি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং বিএমপি কমিশনারের একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেয়র মহোদয় ও পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার লক্ষে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সদর রোড এলাকাকে হকারমুক্ত করেই ছাড়বো।