নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল ও রংপুরের ৯২২টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে হাইকোর্টের নির্দেশ।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বরিশাল ও রংপুর বিভাগের সব অবৈধ ইটভাটা চার সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি জে.বি.এম. হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্টে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত বরিশাল ও রংপুর বিভাগে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বিবাদী রংপুর ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের চার সপ্তাহের সময় দিয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ ছাড়া উক্ত ব্যবস্থা সম্পর্কে আদালতে প্রতিবেদন দখিলের জন্য ২৫ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন।
আদালতে হিউম্যান রাইট অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন মো. সারওয়ার আহাদ চৌধুরী এবং রিপন বাড়ৈ।
শুনানিতে এইচআরপিবির পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ইটভাটাগুলো পরিচালিত হচ্ছে এবং প্রশাসন তাদের উচ্ছেদ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। যাহা পরিচালিত করা অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিনি আদালতে উক্ত অবৈধ ইটভাটাসমূহ বন্ধের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন।
বাদী পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও নাছরিন সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাইনুল ইসলাম (ডিএজি)।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সমগ্র বাংলাদেশের অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করার জন্য জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এইচআরপিবি একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। আদালত রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করতে সকল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ প্রদান করেন।
এই নির্দেশনা মোতাবেক বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের প্রদানকৃত প্রতিবেদনে দেখা যায় বরিশাল বিভাগে ১২২টি ও রংপুর বিভাগে ৮০০টি সর্বমোট ৯২২টি অবৈধ ইটভাটা এখনো বিদ্যমান রয়েছে এবং বিভাগ দুটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে এইচআরপিবি’র পক্ষে এক সম্পূরক আবেদন দাখিল করে উক্ত অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন।’