ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ মার্চ ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পটুয়াখালীতে ইউপি উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-আগুন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মার্চ ৭, ২০২৪ ৬:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালীতে ইউপি উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-আগুন

পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি মোটরসাইকেলসহ চায়ের দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

বুধবার (৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মল্লিকডুবা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে রাত ৩টার দিকে আবদুল মালেক মিয়ার বাড়ির সামনে ৬টি খড়ের পালায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অটোরিকশা প্রতীকের এনামুল হক অপু ও ঘোড়া প্রতীকের আবদুল মালেক মিয়ার কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করছেন।

অটোরিকশা প্রতীকের কর্মীরা জানান, তারা কয়েকজন মল্লিকডুবা বাজারে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ ঘোড়া প্রতীকের কর্মীরা মোটরসাইকেলে এসে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। হামলাকারীরা একটি দোকানে ভাঙচুর করে এবং তাদের একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলায় তাদের দুজন কর্মী আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন।অন্যদিকে ঘোড়া প্রতীকের কর্মীরা জানান, প্রচারণা শেষে তিনটি মোটরসাইকেল যোগে তারা বাড়িতে ফিরছিলেন। মল্লিকডুবা বাজারে পৌঁছালেই অটোরিকশা প্রতীকের নেতাকর্মীরা তাদের হামলা করেন। এ সময় কোনো মতে নিজেদের আত্মরক্ষা করেন তারা। তাদের একজন দৌড়ে চায়ের দোকানে ঢুকলে, তাকে টেনেহিঁচড়ে বেড় করার সময় অটোরিকশার কর্মীরা দোকানে ভাঙচুর করে। অটোরিকশার কর্মীরা অপরাধ আড়াল করতে নিজেরা নিজেদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। হামলায় তাদের তিনজন কর্মী আহত হয়েছে বলেও দাবি তাদের।

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। তারা পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনীত কুমার গায়েন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত আহত হওয়ার কোনো তথ্য পাইনি। দোকান ঘরে হামলা ভয়ভীতি দেখানো এবং খড়ের পালায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুই পক্ষ থেকে দুটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, রাতের ঘটনা তাই প্রত্যক্ষদর্শী কেউ নেই। উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করছেন।