ঢাকাসোমবার , ১৩ মে ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গৌরনদীতে নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছ!

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মে ১৩, ২০২৪ ১০:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

শামীম আহমেদ :: আসন্ন বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো রকম দলীয় মনোনয়ন বা সমর্থন না থাকলেও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান নির্বাচনী আচরণবিধি বহিঃর্ভূত ও অবৈধ প্রভাব বিস্তারের লক্ষে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ব্যবহার, নিজেকে দলীয় প্রার্থী ঘোষনা দেওয়াসহ নানাবিধ ভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা অপর দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী।

আজ সোমবার দুপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়া ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী এ অভিযোগ করেন।

তাদের অভিযোগ- নির্বাচন কমিশন গৌরনদী উপজেলার নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার পর থেকেই আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হারিছুর রহমান দলীয় মনোনয়ন বা কোনো প্রকার সমর্থন না থাকলেও তিনি (হারিছ) হরহামেশাই নিজের ইচ্ছামত গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস তার নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিদিন তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সেখানে নির্বাচনী সভা করেন এবং বিভিন্ন উস্কানীমূলক বক্তব্য দেন, যা তার সমর্থকরা হারিছুরের নির্দেশে সরাসরি ও সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসসহ নানাভাবে প্রকাশ ও প্রচার করে আসছেন।

 

তার এহেন অপকর্মে গ্রামগঞ্জের সাধারণ ভোটারগন ও গণমানুষের মধ্যে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ ও প্রদানে ভীষণভাবে ভয়ভীতিসহ ভোটার উপস্থিতিতে চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হবে। তার (হারিছুর) এহেন কর্মকাণ্ডে ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা কমে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ আমাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা কার্যক্রমে নিশ্চিতভাবে বাঁধার সৃষ্টি করছে।

একই সাথে আইন বহিঃর্ভূত ভাবে গৌরনদী পৌরসভার সরকারি গাড়ি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নিয়মিত ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। হারিছুরের অবৈধ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম অতিসত্বর বন্ধ করে নির্বাচনী কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জোর দাবীসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লংঙ্ঘনের দায়ে হারিছুরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

এবিষয়ে জানতে হারিছুরের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সী জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।