নিজস্ব প্রতিবেদক :: সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক সময়ের বার্তার সম্পাদকসহ তিন সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা থেকে সকলকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন, আসামী পক্ষের আইনজীবী ও দৈনিক সময়ের বার্তার আইন উপদেষ্টা মো: জাহিদুর রহমান রাজীব। এর আগে মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ ৪র্থ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক এমপির দুর্নীতির ঘটনায় দৈনিক সময়ের বার্তা পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর নিজের অপরাধ আড়াল করতে পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এম. লোকমান হোসাঈনসহ তিনজনকে আসামী করে দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৮৭, ৩৭৯,৫০০, ৫০১, ৫০২ ও ১০৯ ধারায় চাঁদার দাবিতে মানহানির উদ্দেশে পত্রিকায় ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রকাশের অপরাধ দাবি করে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা কেেছন।
বিচারক মামলাটি কোতয়ালি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজহার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মইদুল ইসলাম, তিনি মামলার নালিশীতে দাবি করেন, আসামীদের প্রকাশিত ও প্রচারিত দৈনিক সময়ের বার্তা পত্রিকায় তত্ত্বাবধায়নে ও সম্পাদনায় ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুর্যাল নিয়ে জেলা পরিষদের বাণিজ্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ১০ লক্ষ টাকার টয়লেট নির্মাণ, শিনোরামে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পরিষদের চেয়ারম্যান মইদুলের মানহানি হয়েছে দাবি করে ১০ কোটি টাকা মানহানিসহ ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে মর্ম্মে নথিতে উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা অফিসার ইনচার্জের নিদের্শক্রমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো: সাইদুল হক বিপি-৭৬৯৬০৮৫৯৮৮। একই বছরে ৩০ এপ্রিল সঠিকভাবে তদন্ত না করেই প্রভাশালীদের পক্ষ নিয়ে মনগড়া মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারিক আদালতে বদলী করেন। বিচারিক আদালত মামলার বাদী-সাক্ষী ও তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর সকল আসামীদের খালাস প্রদান করেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সম্পাদক এম. লোকমান হোসাঈন, নির্বাহী সম্পাদক মো: ফরহাদ হোসেন ফুয়াদ এবং যুগ্ম সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম।’