![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়ে ভোগান্তিতে নগরবাসী
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সমন্বয়হীনতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। তাদের উদাসীনতায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সড়কের বিভিন্ন নির্ধারিত স্থানে (ডাম্পিং স্পট) দীর্ঘ সময় ময়লা পড়ে থাকায় সেটি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীর। অবস্থা এমন যে ওই সব সড়কের আশপাশ থেকে চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকির জন্য (৬ জুন) বৃহস্পতিবার ৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রথমদিন পরিদর্শন করে নগরীর পরিচ্ছন্নতার কাজে অনিয়ম পেয়েছে বলে জানা গেছে।
মনিটরিং কমিটির সদস্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রশাসনিক শাখার প্রধান সহকারী মো. লকিতুল্লাহ সিকদার বলেন, পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক, সুপারভাইজার কী করেন তা দেখভাল করার জন্য মেয়র এ কমিটি করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত মাঠে নেমে বেশ কিছু অনিয়ম চোখে পড়েছে। দেখা গেছে, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা থেকে ২২-২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ময়লা পড়ে রয়েছে। বিএম কলেজের সামনে যে ময়লা রাখে তা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে এভাবে ময়লার ডাম্পিং হতে পারে না। তিনি বলেন, আমাদের যে পরিমাণ জনবল তাতে নগর এতটা পরিচ্ছন্নতায় ঘাটতি থাকতে পারে না। মনিটরিং কমিটি আগামী রোববার এ নিয়ে সভা ডেকেছে।
বিসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ৩০টি ওয়ার্ডে কর্মীরা কী কাজ করে সেটি তদারকি করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। আসলে পেরেশানিতে না রাখলে কাজের গতিও আসে না। নগরীর পরিচ্ছন্নতা কাজ কীভাবে করা হচ্ছে, তা কতটা নগরবাসীর উপকারে এসেছে জানতে চেয়েছেন মেয়র। এরপর ওই মনিটরিং কমিটি করা হয়।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নগরীর নবগ্রাম রোডের আলমগীর ছাত্রাবাসের বিপরীতের সড়কে, টিটিসি, শিক্ষা বোর্ড, বিএম কলেজ, অক্সফোর্ড মিশন স্কুলের সামনে ময়লার স্তূপ হয়ে থাকে রাত পর্যন্ত। এদিকে নগরীর চৌমাথা এলাকায় অধিকাংশ ড্রেনের স্ল্যাব চুরি হওয়ায় ওইসব ফুটপাত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। হাতেম আলী কলেজের সামনে দীর্ঘদিন ধরে একটি ভবনের নির্মাণসামগ্রী রাস্তা দখল করে ফেলে রাখায় পথচারীদের চলাফেরায় চরম বিঘ্ন ঘটছে।
আলমগীর ছাত্রাবাসের বিপরীতে থাকা ময়লার ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে মসজিদ। মুসল্লিদের অভিযোগ, এ ময়লার কারণে মসজিদে আসতে যেতে তাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। গন্ধ সহ্য করতে হয়।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল নগরীর সমন্বয়ক কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পর রাস্তার বিভিন্ন ডাম্পিং স্পট দিয়ে গন্ধে মানুষ হাঁটতে পারেন না। অলিগলিতে পরিচ্ছন্নতা নাই বললেই চলে। দুর্বল পরিচ্ছন্ন বিভাগ দিয়ে এ নগর পরিপাটি রাখা কঠিন হবে।
নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার বলেন, আমার এলাকা জনবহুল। ১৬ হাজার ভোটার আছে। অথচ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাতে একটি ডাস্টবিনও নাই। কমপক্ষে ১০টি ডাস্টবিন দরকার। পরিচ্ছন্নতাকর্মীও খুবই কম। ফলে ওয়ার্ডবাসীকে যথাযথ পরিচ্ছন্ন সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রুমেল বলেন, সড়কে নির্মাণসামগ্রী রাখার বিষয়ে কয়েকবার মাইকিং করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপরও প্রতিবন্ধকতা করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/uploads/2023/11/BestFarma-213x300.jpeg)